‘এমপি একরাম-নিজাম হাজারী আমাকে হত্যার জন্য মিটিং করেছে’
ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, যতক্ষণ আমার এক পোটা রক্ত আছে, আমি এখান থেকে সরব না। আমি এটাতে আছি। আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলব। আমি সাহস করে সত্য কথা। আমি অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব। এটা কার বিপক্ষে যার, কার বিরুদ্ধে যার, এটা আমার জানার বিষয় নয়। গতকাল থেকে আবার নতুন করে আমার অনুসারী নেতাকর্মিদের মামলা, হামলা গ্রেপ্তার এগুলো সব হচ্ছে। সারারাত আমার প্রত্যেকটা নেতাকর্মির বাড়িতে পুলিশ এবং আরো সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন লোকজন হামলা করছে। অনেক পরিবারকেও লাঞ্ছিত করতে।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১১টায় বসুরহাট পৌরসভায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম কর্মিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমপি নিজাম ও একরাম চৌধুরীর অস্ত্র আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। তারপরে গতকাল রাতে একরাম চৌধুরীর বাড়িতে নিজাম হাজারী আর একরাম চৌধুরীর নির্দেশে আমাকে হত্যা করার জন্য সেখানে বৈঠক করে এবং আমার এখানে আবারো হামলা করার তারা একটা প্রক্রিয়া করতেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার আবেদন, আপনি দলীয় ভাবে এখানে জেলা কমিটিকে তদন্তভার দিয়েছেন। এদেরতো কমিটিটাও অনুমোদন হয়নি। এরা একপেশে। তারাতে একটা সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিচ্ছে। তাদের থেকে সঠিক তথ্য দল পাবে। সেজন্য আমি প্রস্তাব করছি, আমাদের তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আমাদের এ অঞ্চলের নেতা সুজিত রায় নন্দী এ দু’জন সহ যাদেরকে দেন ওনারা তদন্ত করি যদি আমি দোষী সাব্যস্ত হই। আমার দলের নেতাকর্মী দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এছাড়া ঘটে যাওয়া সকল ঘটনার জন্য ঢাকা থেকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করতে হবে। যদি নোয়াখালী থেকে করে তাহলে প্রভাবিত হবে। আর না হলে এনএসআই, ডিজিএফআই আছে তাদেরকে দিয়ে তদন্ত করে যদি আমি এবং আমার অনুসারী যারা আছে অপরাধারের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
তিনি আরো বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভূগতেছিনা আমি আল্লার ওপর নির্ভরশীল তবে আমার অনুসারী নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছে।কাদের মির্জা তার অনুসারী ৮ নেতাকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
(এস/এসপি/মার্চ ১৩, ২০২১)