আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে উৎপত্তি হলেও ২০২০ সালজুড়ে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখেছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত বছরের নভেম্বরের শেষ দিকে দেশটির সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে গেল ছয় সপ্তাহ ধরে আবারও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে।

দেশটিতে এখন নতুন রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বাড়ছেই। প্রতিদিন ২৫ হাজারেরও বেশি নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন তিনশ’রও বেশি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি।

নতুন করে সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী সোমবার থেকে দেশটিতে অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলে স্কুল, রেস্টুরেন্ট ও দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে দেশটির পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহে তিনদিন পুরোপুরি বন্ধ অর্থাৎ লকডাউন থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি নতুন করে দেয়া এই বিধিনিষেধে বাচ্চাদের পড়াশোনা, দেশের অর্থনীতি এবং ইতালিয়ানদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কিন্তু ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের কঠোর পদক্ষেপের দিকে যেতে হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছর আগে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ রূপ দেখেছিল দেশটি। এরপর সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও দফায় দফায় তা আবার বাড়ছে। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়েছে।

দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলের হাসপাতাল এবং আইসিইউ ইউনিটে কোনো জায়গা নেই। গেল সপ্তাহে দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সরকারকে বিশেষ সতর্কবার্তা দেয়। এর প্রেক্ষিতে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করছে দেশটি।

সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন বিধিনিষেধ

দেশটির জনপ্রিয় শহর রোম ও মিলানসহ অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চলে আগামী সোমবার থেকে স্কুল, রেস্টুরেন্টসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এসব অঞ্চলে জরুরি কাজ, স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়া কাউকে বাইরে বের হতে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। পূর্ব ইতালিকে ‘রেড জোন’ উল্লেখ করে আগামী ৩-৫ এপ্রিল লকডাউন রাখা হবে। যাতে করে সেখানে মানুষ অবকাশযাপনে যেতে না পারেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১৩, ২০২১)