নোয়াখালী প্রতিনিধি : শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহারের দাবিতে এবার  বিক্ষোভ করেছে শিক্ষকরা। 

রবিবার সকালে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত বুধবার থেকে একই দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে আসতেছে ছাত্ররা। আজকে নতুন করে শিক্ষকরা এই আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার বিকালে একটি জন্ম সনদের আবেদনে সত্যায়িত করার অপরাধে হাতিয়া দ্বীপ সরকারী কলেজের এক শিক্ষকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে লাঞ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এর প্রতিবাদে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা বুধবার থেকে ইউএনওর অপসারন দাবী করে আন্দোলনে নামে। মাঝখানে শুক্র ও শনিবার সরকারী বন্ধ থাকায় আজ রবিববার আবারও তারা বিক্ষোভ করে। আন্দোলনের তৃতীয় দিন আজ তাদের সাথে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষকরাও।

এই লক্ষ্যে সকালে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি ও কলেজ শিক্ষক সমিতি ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্তরে একত্রিত হন। পরে একটি বিশাল মিছিল উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় পরিষদ চত্ত্বরে এসে শেষ হয়।

মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো: ইউছুফ, সাধারন সম্পাদক জিল্লুর রহমান, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস, এস এম মোজাহিদুল ইসলাম, জহির উদ্দিন মিশু, মো: আইয়ুব উল্যাহ, নুরুল আলম, আ ন ম হাসান ও মাওলানা গফুর প্রমুখ । এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অশোভন আচারনে নির্যাতিত শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মনিরুজ্জামান রিয়াজ, মাওলানা জাপর ইকবাল ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরান হোসেন হাতিয়া আসার পর থেকে বিভিন্ন সময় সাধারন মানুষের সাথে অশোভন আচারন করে আসতেছে। এর মধ্যে বাদ পড়েনি শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তা, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ও আবাসিক হোটেল বয়ও। তাঁর এই অশোভন আচারনে শুধু শিক্ষক সমাজ নয় হাতিয়ার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ আজ ক্ষুদ্ধ। তাঁর এই আচারনের জন্য তাকে অপসারনও বিচার দাবী করেন। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে জানান তারা।

(এস/এসপি/মার্চ ১৪, ২০২১)