রাজন্য রুহানি, জামালপুর : দুজনই কলেজ শিক্ষার্থী। ফেসবুকে বন্ধুত্ব। তারপর মন দেয়া-নেয়া। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় এক মুন্সি দিয়ে কালেমা পড়ায় প্রেমিক। তারপর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মতো মেলামেশা। কাবিন রেজিস্টার হলে চাকরি নিতে সমস্যা হবে বলে কালক্ষেপণ। এভাবেই দুই বছর। বিয়ে রেজিস্ট্রারের জন্য চাপ দিলে পালায় প্রতারক প্রেমিক।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানায় এভাবেই ঘটনার বর্ণনা করলেন ওই কলেজছাত্রী।

তিনি আরো জানান, 'উপায়ন্তর না দেখে ঢাকার লালমাটিয়া থেকে ১২ মার্চ বকশীগঞ্জের বগারচর ইউনিয়নের টাঙ্গারীপাড়া গ্রামে প্রেমিকের বাড়িতে আসি। অভিভাবকের কাছে সবিস্তারে ঘটনা জানাই। ৪ দিন ধরে ওই বাড়িতে থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন করি। প্রেমিক সবুজ পলাতক। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকের স্বজনরা আমাকে মারধর করেন। আমি ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিসে (৯৯৯) কল দিই। পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আমি প্রেমিকসহ ওর পরিবারের চারজনের নামে থানায় মামলা করি।'

অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম সবুজ। তিনি টাঙ্গারীপাড়া গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় সোমবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টায় প্রেমিক সবুজ, তার বোন জামাই নুরুল আমিন, চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন ও বাবা শরিফ উদ্দিনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেন ওই কলেজছাত্রী।

খবর পেয়ে রাতেই বকশীগঞ্জ থানায় এসেছেন ওই কলেজছাত্রীর মা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে মায়ের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট।

তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ধর্ষকসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(আরআর/এসপি/মার্চ ১৬, ২০২১)