ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে যৌতুক চাওয়া ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সৎ মা ও স্বামীর নির্যাতনে কামরুন্নাহার লক্ষী (৩৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। 

সোমবার গভীর রাতে ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা মধ্যপাড়া এলাকায় এঘচনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার(১৬) মার্চ সকালে ঔই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ ধামরাই উপজেলার ফোটনগর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার মেয়ে।

নিহতের স্বামী মিজান মোল্লার বাড়ি ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের ফরিঙ্গা মধ্যপাড়া এলাকার কালাচান মোল্লার ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুতের দাবীতে নিহত কামরুন্নাহা নির্যাতন করছিল ঘাতক স্বামী মিজানুর রহমান। গতকয়েক দিন পুর্বে কৌশলে পাশের বাড়ী দাওয়াত খাওয়ার নাম করে বোন ও শাশুরীর কাছ থেকে প্রায় ৬/৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আনেন। এরপর স্বামী মিজান মোল্লা অলঙ্কার ফেরত দিতে অনিহা প্রকাশ করেন । এ নিয়ে একপর্যায়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাদে। স্বামী মিজান মোল্লা ও তার সৎমা বেদানা বেগম পুত্র বধুকে বেদম মারদর করেন।

মারদরের একপর্যায়ে কামরুন্নাহার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং গতকাল গভীর রাতে সে মারা যায়।

স্বজনরা আরো বলেন, ৫ বছরের নাবালক পুত্র ছাদ মোল্লার সামনেই তার মায়ের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায় ছাদ মোল্লা বাবা মিজান মোল্লা ও তার সৎমা বেদানা বেগম। তাদের নির্যাতনেই মারা যায় কামরুন্নাহার।

নিহত কামরুন্নাহারের বাবা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মিজান মোলা পলাতক রয়েছে এবং তার সৎ মা বেদানা বেগমকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে ধামরাই থানা পুলিশ পরিদর্শক আতিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত শাশুড়ীকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে প্রধান আসামি মিজান মোল্লা পলাতক রয়েছে।

(ডিসিপি/এসপি/মার্চ ১৬, ২০২১)