বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপালে শিশু শিক্ষার্থীকে হাত বেধেঁ মাদ্রাসা ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে শারীরিক নির্যাতন করায় হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনি নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্র্প্তোর করেছে রামপাল থানা পুলিশ।

উপজেলার শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থী মো. শুকুর শেখকে (১১) রবিবার সকালে মাদ্রাসায় বসে এই নির্যাতন করা হয়। এঘটনায় শিশু শিক্ষার্থীর পিতা উপজেলার গাববুনিয়া গ্রামের মো. মনি শেখ রবিবার রাতে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে নির্যাতনকারী মাদ্রাসা শিক্ষক হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করে।

নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মো. মনি শেখ মোবাইল ফোনে জানান, আমার ছেলে মো. শুকুর শেখকে কোরআনে হাফেজ করতে গ্রামের বাড়ী গাববুনিয়া থেকে আধা কিলোমিটারেরও কম দূরর্ত্বের পার্শ্ববর্তী শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসা ভর্তি করেন। সে মাদ্রাসায় থেকেই হেফজ পড়ে। শনিবার রাতে ছেলেটি বাড়ীতে এসে ভোরেই মাদ্রাসায় চলে যায়। মাদ্রাসায় যাওয়ার পরপরই কেন বলে যাওয়া হয়নি এই অভিযোগে প্রথমে মাদ্রাসা শিক্ষক সৈয়দ মো. ওসমান গনি বেত দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে।

পরে হাত বেধেঁ মাদ্রাসা ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে আবারো শারীরিক নির্যাতন করেন। এত আমার ছেলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। লোকমুখে এখবর জানতে পেরে মাদ্রাসা থেকে ছেলেকে উদ্ধার এঘটনার প্রতিকার চেয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনিকে আসামী করে রবিবার রাতে শিশু নির্যাতন দমন আইনে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করি। পুলিশ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। আমি এখন দ্রুত কোরআনে হাফেজ নামের কলঙ্ক এই নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

রামপাল থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, উপজেলার শ্রীফলতলা জে জি আর হাজী আরিফ হাফেজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মো. মনি শেখ তার ছেলেকে মারপিটসহ আড়ায় ঝুলিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় রবিবার রাতে শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই দ্রুত অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসা থেকে শিক্ষক হাফেজ সৈয়দ মো. ওসমান গনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপাতারকৃক আসামীকে সোমবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট স্বপন কুমার সরকার আসামীকে কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ২২, ২০২১)