নিউজ ডেস্ক : এক কেজি কফির দাম বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৬ হাজার টাকা, আর কেবল এক কাপ কফির জন্য খরচ করতে হবে প্রায় চার হাজার টাকা!

বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই 'ব্ল্যাক আইভরি কফি' তৈরি হয় উত্তর থাইল্যান্ডে অ্যারাবিকা কফি বিন থেকে। ঠোঁটে একবার এই কফি ছোঁয়ালে আমৃত্যু ভুলতে পারবেন না যেমন এর স্বাদের কারণে, তেমনই এর দামের কারণেও বটেই!

তবে দুর্মূল্য ও বিশেষ স্বাদের এই মহার্ঘ্য কফির কিভাবে তৈরি করা হয়, তা জানলে সম্ভবত এ জীবনে এই কফির স্বাদ নিতে চাইবেন না। কারণ ব্ল্যাক আইভরির কফির উৎসই হল হাতির বিষ্ঠা!

বৃটিশ দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ব্ল্যাক আইভরি কফি কোম্পানি লিমিটেড তাদের সংগৃহীত অ্যারাবিকা কফি বিনস থাইল্যান্ডের গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল এশিয়ান এলিফ্যান্ট ফাউন্ডেশনে বসবাসরত বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া হাতিদের খাইয়ে দেয়। অপরিশোধিত কফির দানাগুলো পরিশোধন করা হয় কোনো কারখানায় নয়, হাতির পেটে!

ভারতীয় দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন জানাচ্ছে, প্রথমে নানা রকম ফলের সঙ্গে কফির বীজ বা দানা মিশিয়ে খাওয়ানো হয় হাতিকে। ১৫ থেকে ৭০ ঘণ্টা ধরে খাবারগুলো হাতির পেটে হজম হতে থাকে। এরপর উদ্বৃত্ত যে দ্রব্যগুলো বিষ্ঠা হিসেবে হাতির শরীর থেকে বেরিয়ে আসে, তার ভেতরেই থাকে পরিশোধিত কফির দানা!

পরে প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধিত এই কফির দানাগুলো ধুয়ে, শুকিয়ে রোস্ট করলেই পাওয়া যায় বিশেষ আইভরি কফি।

মাত্র এক কেজি আইভরি কফি তৈরির জন্য ৩৩ কেজি কফির দানা খাওয়াতে হয় হাতিকে! আর আর প্রতি এক কেজি রোস্টেড কফি তৈরিতে ব্যবহৃত আট হাজার আটশ’টি কফির বীজ।

হাতির মত তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্য পেটে গেঁজে তৈরী হয় সেলুলোজ বা শর্করা। আর কফি বা বিয়ারের ক্ষেত্রে এই ‘গাঁজানো’ ব্যাপারটি খুবই জরুরি, কারণ এর মাধ্যমেই কফির বীজে মিষ্টতা আসে। গাঁজানোর ফলে আইভরি ব্র্যান্ডের কফির তিক্তভাব কেটে গিয়ে তাতে মিষ্টতা আসে বলে এই কফিতে আলাদা করে চিনি মেশানোরও দরকার হয় না।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ২৭, ২০১৪)