টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। 

শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনি হাসপাতালের একটি ভিআইপি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মির্জাপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যাথার জন্য গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যা সন্তানটিকে আইসিইউ’তে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রাখা হয়। গত চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন। কিন্তু জন্ম নেয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালেই একটি কক্ষ নিয়ে থেকে যান। শনিবার সকালে তার স্বামী মিজান আসেন হাসপাতালে রেদওয়ানার সঙ্গে দেখা করতে। বিকেলে হাসপাতালের নার্স অনুরাধা রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে লক (তালা) দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। রবিবার (২৮ মার্চ) সকালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল হক জানান, এ ঘটনায় নিহতের ভাই রফিকুল ইসলাম রফিক বাদী হয়ে রোববার (২৮ মার্চ) নিহতের স্বামী মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আসামী পলাতক রয়েছে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

(আরকেপি/এসপি/মার্চ ২৮, ২০২১)