বাগেরহাট প্রতিনিধি : বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে তিন দফায় আটক ৬১ ভারতীয় জেলেকে মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে মুক্তিপ্রাপ্ত এসব জেলেকে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেন বাগেরহাট কারা কর্তৃপক্ষ। এরপর পরই ভারতীয় এসব জেলে আটকের সময় যে ফিশিং ট্রলারে ছিলো তাতে করে নৌপথে ভারতে পুশব্যাক করতে বাগেরহাটের মোংলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট কারাগারের জেলার একে এ এম মাসুম জানান, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ প্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে প্রথম দফায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর কোষ্টগার্ড সদস্যরা ‘এফবি মা শিবানী’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।

এরপর কোষ্টগার্ড সদস্যরা ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ‘এফবি মঙ্গল চন্ডি - ৭’ নামের একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী কোষ্টগার্ড সদস্যরা ‘এফবি সঙ দ্বীপ’ ও ‘এফবি সর্ণলতা’ নামের দুটি ফিশিং ট্রলারসহ আরো ২৮জন ভারতীয় জেলেকে আটক করে আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠাবার নির্দেশ দেন।

তিন দফায় আটক ৬১ ভারতীয় জেলে এতোদিন বাগেরহাট কারাগারে আটক ছিলেন। আটক এসব জেলে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে বিচারক তাদের মুক্তির আদেশে আটকের সময় তারা যেসব ফিশিং ট্রলারে ছিলো তাতে করে নৌপথে ভারতে পুশব্যাক করতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে আটক ৬১ ভারতীয় জেলে দুপুরে বাগেরহাট কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে ভারতীয় দূতাবাস কর্মকর্তাদের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। ফিশিং ট্রলারে করে নৌপথে ভারতে পুশব্যাক করতে বিকালে তাদের বাগেরহাটের মোংলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মোংলা থানা পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জানায়, সন্ধ্যায় কোষ্টগার্ডের মাধ্যমে ফিশিং ট্রলারের করে নৌপথে ভারতে পুশব্যাক করতে মোংলায় নিয়ে আসা হয়েছে। মুক্তি পাওয়া এসব জেলেদের ৪টি ফিশিং ট্রলার কিছুটা মেরামত করার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ভারতে পুশব্যাক করা হবে বলে জানান মোংলা থানার ওসি মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী।

(এসএকে/এসপি/মার্চ ৩০, ২০২১)