রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। গেল ৫ দিনে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে ১১ ব্যক্তি।সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে নারী ও কম বয়সী ব্যক্তিও। কম নমুনা পরীক্ষায় কম সংখ্যক লোক আক্রান্ত হলেও পরিসংখ্যানের দিক থেকে তা উদ্বেগজনক। নমুনা পরীক্ষা বাড়ানো হলে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে বলে অভিমত সুধীজনদের।

জেলার বিভিন্ন এলাকা, গণপরিবহন, রেল স্টেশন, হাটবাজার ও বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ লোকের মুখে মাস্ক নেই।মানছে না কেউ স্বাস্থ্য বিধিও। সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সেবা গ্রহীতাদের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। সেই সঙ্গে সর্বত্র গোপনে ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট ও কোচিং চালু থাকায় জেলায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৭ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৭ মার্চ ৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জন, ২৮ মার্চ ৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, ২৯ মার্চ ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন, ৩০ মার্চ ৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৩জন এবং ৩১ মার্চ ১২টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জনসহ মোট ১১ ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

জেলার মানবাধিকার কর্মি জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, গত ৫ দিনে ১৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ১১ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।এটা উদ্বেগজনক পরিস্থিতি।বেশি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, জেলায় বিভিন্ন গণপরিবহন, বাস-রেল স্টেশন, খেলার মাঠ ও হাট বাজারে লোক সমাগম বেশি হচ্ছে। চলছে বিভিন্ন সভা-সমাবেশও। কেউ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মানছে না।এদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।সেই সঙ্গে গোপনে চালু প্রাইভেট ও কোচিং সেন্টার বন্ধ করা না গেলে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহের দিকে যাবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

সিভিল সার্জন প্রণয় কান্তি দাস জানান, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৯৮৪টি নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৮৪৭ জন।এদের মধ্যে ১ হাজার ৮০০ জন সুস্থ হয়েছে এবং ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২১)