ধ্রুব রঞ্জন দাস, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : ভুট্রা চাষে কম সময়েই সাফল্য দেখিয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর কৃষকরা। অন্যান্য খাদ্যশস্যের চেয়ে কম পরিচর্যা, বাজারে প্রচুর চাহিদা ও ভালো দাম থাকায় দিন দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভুট্টা চাষ। তাই রেকর্ড পরিমাণ ভূট্টা উৎপাদনের আশা করেছেন কটিয়াদী উপজেলার পৌরসভার ব্লকের বেথইর গ্রামের কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অন্য ফসলের তুলনায় কম খরচে অধিক ফলন ও বেশী লাভ হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় ১ শত হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন এবং বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। ভুট্টা অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসল। গবাদি পশুর খাদ্য ও জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অনেক কৃষক ভুট্টা চাষ করছেন। ফলে উপজেলার পতিত জমিগুলো ভুট্টা চাষের আওতায় আনা হচ্ছে। এই রবি মৌসুমে কৃষকরা অন্যান্য আবাদের চেয়ে ভুট্টা চাষে উৎসাহী হচ্ছে।

উপজেলার পৌরসভার বেথইর গ্রামের কৃষক আব্দুল হাসিম জানান,ভূট্টা চাষ করতে সার ও সেচ কম লাগে, ফলন অন্য ফসলের তুলনায় বেশী হয়। তাই ধান চাষ না করে ভুট্টা চাষ করছি। আমি এ বছর ৭০ শতাংশ জমিতে ভূট্টা চাষ করেছি। আশা করছি বেশ ভালো ফলন পাবো।

এ গ্রামের আরেকজন প্রান্তিক কৃষক মল্লিক মিয়া বলেন,এক বিঘা জমিতে ভূট্টা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা এবং বিক্রি হবে ৩০-৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া আমরা ভূট্টার পাশপাশি খড়ের বদলে গরু-ছাগলের এক বছরের খোরাক পাব ও লাকড়িও পাব। যা জ¦ালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে।

পৌরসভার ব্লকের উপ সহকারী মোঃ আবু ছিদ্দিক জানান, আমরা ভুট্টার আবাদ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি এবং সার, বীজসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ সবসময় দিয়েছি। যার ফলে আমাদের এলাকায় ব্যাপক ভুট্টার আবাদ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মুকশেদুল হক জানান, উপজেলার জমিগুলো ভুট্টা চাষের উপযোগী। বানিজ্যিক কৃষির সম্প্রসারনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। লাভজনক এই ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে কৃষি অফিস থেকে সব রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি বর্তমান সময়ে যেভাবে ভুট্টার আবাদ হচ্ছে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে ।

(ডিআর/এসপি/এপ্রিল ০১, ২০২১)