জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মেলান্দহে ছেলের ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ওয়াহাব আলী (৫৫) নামে এক বাবা। এর আগে মা নইল্যা বেগমকে মেরে হাতের কব্জি ভেঙে দেয় ওই ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে আহত হবার পর ওয়াহাব আলীকে প্রথমে জামালপুর পরে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২ এপ্রিল) তিনি মারা যান।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরবানিপাকুরিয়া ইউনিয়নের আটাবাড়ি গ্রামে। ঘটনার সময় আহত মা নইল্যা বেগম (৪৫)সহ বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার (৩১ মার্চ) ওয়াহাব আলীর প্রথম স্ত্রী নইলে বেগম (৫০) ও তার ছেলে রিপনের (২৬) সাথে কলহ হয়। একপর্যায়ে রিপন তার মা নইল্যা বেগমকে মারপিট করে হাতের কব্জি ভেঙে দেয়। খবর পেয়ে পরদিন ঢাকা থেকে ওয়াহাব আলী বাড়ি আসেন। মাকে মারা নিয়ে বিকেলে আবার কলহ বাঁধলে রিপন তার বাবার পেটে ছুরিকাত করে। এতে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াহাব আলী মারা যান।

নিহত ওয়াহাব আলীর মেয়ে রিনা পারভীন (২৮) জানান, মাকে মারধরের খবর পেয়ে সৎ মাকে ঢাকায় রেখে পরদিন বাবা বাড়ি আসেন। এ নিয়ে বিকেলে আরেক দফা কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে চাচাতো ভাই বাবলু মিয়া (৫০) ও বোন জামাই শহিদুল ইসলাম (৩৫) বাবার মাথায় আঘাত করেন। এ সময় রিপন বাবার পেটে উপর্যুপরি ছুরি মেরে আহত করে। প্রতিবেশীরা মুমূর্ষু অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

ওয়াহাব আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী গোলাপী বেগম (৪৫) জানান, বাড়িতে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাকে গ্রাম্য মাতাব্বরগণ ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ মায়নুল ইসলাম জানান, এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২১)