স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুর মহানগরের চান্দনা-চৌরাস্তা এলাকায় শুক্রবার দুপুরে হেফাজত কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাসন থানা  পুলিশ বাদি হয়ে ২৮১ জন হেফাজত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে।  

এসআই কামরুল ইসলাম বাদি হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে ওই মামলা করেন। মামলায় ৩১জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরো ২০০/২৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ মামলার ২১আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

বাসন থানার ওসি মো. কামরুল ফারুক জানান, পুলিশের সরকারি কাজে বাঁধা ও দাঙ্গা করার অপরাধে ওই মামলা করা হয়েছে। মামলার ২১ আসামিকে ঘটনার দিনই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার জানান, হেফাজত কর্মীরা চান্দনা ঈদগাহ মাঠে জমায়েত হতে থাকেন। পরে তারা পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গিয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে কমপক্ষে ৮জন পুলিশ সদস্য আহত হন। একপর্যায় তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে মৃদু লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। মুসুল্লিরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে।

হেফাজতে ইসলামের গাজীপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন খান জানান, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জুম্মার নামাজের পর গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় মসজিদের হেফাজত কর্মী ও হেফাজতপন্থি মুসুল্লিরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ঈদগাহ ময়দানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য অবস্থান নেন। এসময় পুলিশ গিয়ে আকস্মিকভাবে তাদের কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে অন্তত ১৫জন হেফাজত কর্মী আহত হয়েছেন।

এসময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়িরা আতঙ্কে তাদের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। পাশের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও প্রায় আধাঘন্টা ধরে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়।

(এস/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০২১)