জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী মজনু হত্যা মামলায় মা-মেয়েসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি জান্নাতুল ফেরদৌস শাপলাকে ৫০ হাজার ও বাকি দুজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রবিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই রায় দেন বিচারক মো. জুলফিকার আলী খাঁন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন জামালপুর সদর উপজেলার ডেংগারগড় গ্রামের মো. আলতাফ হোসেন মুরাদের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে শাপলা, স্ত্রী মোছা. সুফিয়া আক্তার রিনা ও শ্রীরামপুর গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান ওরফে সুরুজ ডাক্তারের ছেলে মো. এহসান আহম্মেদ ওরফে সোহাগ।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, প্রায় ২৫ বছর আগে সদর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আ. বারী সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান মজনুর সাথে শহরের পলাশগড় গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে লাকীর বিয়ে হয়। মজনুর সাথে দণ্ডিত শাপলার পরকীয়া নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ বাঁধে। একপর্যায়ে লাকী শিশুপুত্রকে নিয়ে জামালপুর শহরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এরমধ্যে ২০১৩ সনের ৭ মে তারিখে মজনু সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন সকালে ডেংগার গড় গ্রামের খেলার মাঠের পাশে পতিত জমিতে তার লাশ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের মা হাসিনা বেগম পুত্রবধূ লাকীসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় মজনুর স্ত্রী লাকীকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। মজনুর মোবাইলের কললিস্ট পর্যালোচনা করে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে শাপলা ও তার মা, তাদের সহযোগী সোহাগ ও ডেংগার গড়ের আতর আলীর ছেলে আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নির্ম্মল কান্তি ভদ্র। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, আনোয়ারুল করিম শাহজাহান ও মো. মোশাররফ হোসেন।

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০২১)