জামালপুর প্রতিনিধি : লকডাউন মানছেনা জামালপুরের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ। মার্কেট, রাস্তা ও মোড়ে মোড়ে মানুষজনের ভিড় দেখা গেছে। সিংহভাগ লোকের মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। চলছে আড্ডা। সিএনজি ও অটোরিকশা করে জেলার অভ্যন্তরে চলাচল করছে লোকজন। চলছে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িও। জেলার বাইরেও যাচ্ছে সিএনজি। তবে দূরপাল্লাসহ আন্তঃজেলা বাস পরিবহন বন্ধ রয়েছে। লকডাউনের প্রথম দিনে  আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর ‌পর্যন্ত শহরের পাঁচরাস্তা, নয়াপাড়া, দেওয়ানপাড়া, আমলাপাড়া, ঢাকাইপট্টি, মেডিকেল রোড, গেটপাড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে খোলা রয়েছে দোকানপাট। দোকানের সামনেই চলছে চা-পানের আড্ডা। শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেচাকেনা চলছে আগের মতোই। বিপণী বিতানগুলো বন্ধ থাকলেও এক শার্টার অর্ধে খোলা রেখে চলছে কাপড় বিক্রি। খোলা রয়েছে ছোটখাটো হোটেলও।

শহরের সকালবাজার ও শফি মিয়ার বাজারে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মানা হচ্ছেনা কোনো সামাজিক দূরত্ব। অধিকাংশ ক্রেতাদের মুখে মাস্ক ছিল না।

শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সিএনজি ও অটোরিকশায় যাতায়াত করছে লোকজন। সিএনজি যাচ্ছে সদর থেকে বিভিন্ন উপজেলায়। অটোরিকশায় বহন করা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। এ প্রসঙ্গে শহরের পাঁচরাস্তা মোড়ে সিএনজি চালক মতিউর রহমান বলেন, ‘উপায় নাই দেইখেই গাড়ি নিয়ে বারাইছি। হুট কইরে লকডাউন ঘোষণায় বেকায়দায় পইড়ে গেছি। ঘরে তো কোনো খাদ্য কিনে রাখি নাই।’

বগাবাইদের অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কামাই না করলে খামু কী? তিন ঘন্টায় দেড়শ টেহা মারছি (রোজগার করেছি)।’ দূরত্ব না রেখে একটা অটোতে ৫/৬ জন যাত্রী বহন করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘লোকজন ওঠে। আমরাও দুই পয়সের জন্য তুলি।’

এছাড়া শহর ও গ্রামের কিছু কোচিং সেন্টারে গোপনে চলছে পাঠদান। গৃহশিক্ষকদের বাড়িতে ব্যাচেও চলছে পড়াশোনা।

লকডাউন নিশ্চিতে মাঠে প্রশাসনের পক্ষে জনসচেতনতামূলক কার‌্যক্রম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদা ইয়াসমীন।

তিনি জানান, ‘আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছি এবং করবো। সরকারি গণবিজ্ঞপ্তির আদেশ যারা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ০৫, ২০২১)