এম এ হিরা, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সাত দিনের 'লকডাউনের' দ্বিতীয় দিনেও গোয়ালন্দে  ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। গোয়ালন্দ পৌর শহরে  'লকডাউন' মানতে দেখা যায়নি খুব একটা। তবে লকডাউনের প্রভাব পড়েছে গোয়ালন্দের কর্মজীবী মানুষের উপর । যারা দিন আনে দিন খায় তাদের সংসার চালানোয় কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে তারা জানিয়েছেন। 

সরেজমিনে কথা হয় গোয়ালন্দের সেলুন ব্যবসায়ী পবিত্র শীলের সাথে। তিনি বলেন, গত দুই দিন লকডাউন এ তেমন দাড়ি চুল কাস্টমারের কাটতে পারেনি বাড়িতে বউ ছেলেমেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যেই দিন কাটছে।

প্রধান প্রধান সড়কে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল ছিল চোখে পড়ার মতো। এগুলো ছিল বলে কর্মজীবীদের ভোগান্তি কিছুটা কমেছে।

মঙ্গলবার সকালে গোয়ালন্দ বাজার এলাকা ও আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে অনেকের মুখে মাক্স পড়ে নি অনেকে মাছ পড়লেও থুতনিতে রেখে দিয়েছে অনেকে দোকানের ঝাঁপ খোলা রেখে দোকান করছে।

দৌলতদিয়ার টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড় সকল ড্রাইভার হেল্পার রা টিকিট পাওয়ার জন্য জটলা বেঁধে কাউন্টারের শিক ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

মাহিন্দ্রা চালক রফিক বলেন, আমরা পুলিশের ভয় পেও পেটের দায়ে মহাসড়কে গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করছি। তাই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছি।

গোয়ালন্দ বাজার এলাকার প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ থাকলেও গলির জীবনযাত্রা ছিল প্রায় স্বাভাবিক। গোয়ালন্দে মাছ বাজার ও কাঁচাবাজারে সকালে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ও ছিল আগের মতোই। সব ধরনের দোকানপাটও খোলা রেখেছেন দোকানিরা। বেশিরভাগ মানুষকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। তবে অনেকের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে আসতে দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি বাজার দিয়ে চলাফেরা করলে অনেকে দৌড়ে পালিয়েছে এবং দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করেছে। আবার দেখা গেছে সাধারণ পথচারী সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে। গাড়ি চলে গেলেই আবার আগের দৃশ্য

উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর আওতায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।

(এইচ/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২১)