সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া  (নেত্রকোনা) : পোষাক শ্রমিক গৃহবধু সেতু আক্তার শিল্পির (২৫) রহস্যজনক মৃতু নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। স্বামী ফরিদ মিয়া টমাস স্ত্রীর লাশ বাড়ীতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা ইউনিয়নের স্বল্পমাইজহাটী গ্রামের আব্দুর রউফের কন্যা সেতু আক্তার। ৭/৮ মাস আগে একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে ফরিদ উদ্দিন টমাসের সঙ্গে রেজিষ্ট্রী কাবিনমূলে বিয়ে হয়। 

জানা যায়, বিয়ের পর ফরিদ তার স্ত্রী সেতুকে নিয়ে কর্মসংস্থানের জন্য চট্টগ্রাম পোষাক কারখানায় চলে যায়। সেতু সেখানে পোষাক শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে থাকলেও টমাস প্রায় ৩ মাস আগে সেখান থেকে বাড়িতে চলে আসে। গত কয়েকদিন আগে সেতু চট্টগ্রাম থেকে তার বাবার বাড়ীতে আসে।

মঙ্গলবার ৬ এপ্রিল ফরিদ মিয়া সেতুকে তার বাবার বাড়ী থেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে আসে। রাতে কি কারণে সে বমি করেছে তা কেউই মুখ খুলে বলেননি । গভীর রাতে অসুস্থ অবস্থায় স্বামী ফরিদ মিয়া টমাস সেতুকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেতুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুও খরব পেয়ে কেন্দুয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জোনাঈদ আফ্রাদ, ওসি (তদন্ত) হাবিবুল্লাহ খান বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান। থানা পুলিশের এস.আই মাহাবুব জানান স্বল্প মাইজহাটী গ্রামের ফরিদ মিয়া টমাসের বাড়ী থেকে তার স্ত্রী সেতুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে সেতুর বাবার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে তিনি জানান সেতু আক্তার শিল্পির স্বামী ফরিদ মিয়া টমাস স্ত্রীর লাশ বাড়িতে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২১)