ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার উপস্থিতিতে ইউনিয়ন আ.লীগ নেতাদের মারধর করে লাঞ্ছিত করেছে তার অনুসারীরা।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার বাংলাবাজারের ভিআইপি হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মির্জা কাদের সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুছাপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষে বসুরহাট যাওয়ার পথে বাংলাবাজারের ভিআইপি হোটেলের সামনে ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন হেনজু (৫০), ২নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম (৪৮), ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান (৪৩),ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো.হাসান (২৩), অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ ওই পথ দিয়ে গাড়িতে করে মেয়র যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে উদ্দেশ্যে করে বলে তোরা চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে আছিস কেনো। হেনজু মেম্বার হেসে বলে কই নেতা আমরা কোথায় চোখ রাঙালাম। একথা বলতেই মেয়রের গাড়ীতে থাকা অনুসারীরা আ.লীগ নেতা হেনজু মেম্বারকে তেড়ে এসে কিলগুসি মেরে লাঞ্ছিত করে। পরে ঘটনা বাড়তে থাকলে মেয়র অনুসারীদের নিবৃত করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে মুছাপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আ.লীগ নেতা হেনজু মেম্বার জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ করে মির্জার কয়েকজন অনুসারী গাড়ি থেকে নেমে এসে আমাকে কিল,ঘুষি দেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী শাহীন অভিযোগ করেন, কাদের মির্জার নেতৃত্বে মুছাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন হেনজু (৫০), ২নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম (৪৮), ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান (৪৩) ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো.হাসানকে (২৩), তার অনুসারীরা মারধর করে লাঞ্ছিত করে। তিনি আরো বলেন ভবিষ্যতে মুছাপুরে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের ওপর হামলা করতে আসলে কঠিন জবাব দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে আবদুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রবিউল হক জানান, বাংলাবাজারে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি দস্তাদস্তির ঘটনা ঘটেছে। তবে এখন পয়ন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেননি।

(এস/এসপি/এপ্রিল ০৭, ২০২১)