ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : করোনায় আক্রান্ত নোয়াখালীর বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর কালো মানিক নামে খ্যাত সাবেক বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ছয় দফার ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ।

বর্তমানে তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। হালকা কাশি, শরীর ব্যাথাসহ কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তবে তার স্ত্রী সন্তান আক্রান্ত হননি বলে জানাযায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি করোনার প্রথম ডোজ নিয়েছেন আজ বৃহস্পতিবার ছিলো দ্বীতিয় ডোজ নেয়ার তারিখ কিন্তু ৩ দিন আগেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। করোনায় আক্রান্তের খবর পেয়ে তার খোঁজ খবর নেন বাংলাদেশ আওয়ামি লীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক ও পরিবহণ সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভিপি মোহাম্মদ উউল্যাহ তার সুস্থতার জন্য নোয়াখালীবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। মানুষের সেবা করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই এই মরণব্যাধি ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি।

জেনে নিন কে এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ?

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে প্রথম একমাত্র প্রতিবাদ কারি এবং বঙ্গবন্ধু যাকে আদর করে কালো মানিক বলতেন, সারা বাংলাদেশে তিনি একজনই, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বৃহত্তর নোয়াখালীর স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্! তিনি যখন চৌমুহনী এসএ কলেজের দুর্দান্ত ফর্মের ছাত্রবান্ধব ভিপি, তখনই শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ,নিজেকে উজার করে সমর্পণ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে, হায়েনাদের কবল থেকে কেড়ে এনেছিলেন আমাদের মা বাংলাদেশকে ।

টানা ৩ বার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে, দলে বহু অনুপ্রবেশকারি আওয়ামীলীগে ছোট পদ পেয়ে কামিয়েছেন শতকোটি টাকা সেখানে সারাদেশে হাজারো ত্যাগি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ গড়ার নিঃস্বার্থকারিগর’রা আজ উপেক্ষিত তেমনই একজন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্।

ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের খুবই জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারি, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ধারক-বাহক এই ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্ দলীয় কর্মী সমর্থকদের কাছে ছিলেন বিশাল এক বটবৃক্ষের মতো! অথচ আজ তাঁর কোনও অবস্থান নেই কোথাও, না দলে, না সরকারে, না সমাজে! ষড়যন্ত্রের ঘেরা জালে আজ তিনি অচ্ছুত! একাত্তরে ও পঁচাত্তরে গর্জে ওঠা অকুতভয়ী সৈনিক ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্ আজ কপর্দকহীন, বড় কষ্টে থাকেন ভাড়া বাড়িতে!

এক সময়ের তুখোড় আওয়ামীলীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থানীয়ভাবে আওয়ামীলীগের কোনও কর্মসূচিতেই আমন্ত্রিত হন না, অর্থাৎ তাঁকে আমন্ত্রনই জানানো হয় না! ১৭ বছর পর বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়ে গেল সেদিন! ওই সম্মেলনে তাঁকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রন জানিয়ে সম্মানিত করা দূরে থাকুক, তাঁকে কেউ দায়সারা গোছের মুখের বলাটাও বলেনি! ওথচ আজ আওয়ামীলীগের নামে শুধু বেগমগঞ্জ নয়, সারা নোয়াখালী লুটেপুটে খাচ্ছে হাইব্রিড লুটেরারা! আর চূড়ান্ত অনাদর অবহেলায় মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যাচ্ছেন অভিমানী সূর্যসন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্!

সকল আশা ভরসার শেষ বাতিঘর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কালো মানিক, একাত্তর ও পঁচাত্তরের বীরসেনা ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহর এই উপেক্ষিতভাবে বেঁচে থাকার বিষয়টি যদি জানতে পারেন তাহলেই সম্মানিত হবে মুক্তিযুদ্ধ, সম্মানিত হবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ,সম্মানিত হবে অবহেলিত লাখো আওয়ামিলীগ কর্মি, সম্মানিত হবে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ্, আলোকিত হবে নোয়াখালী, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন‘‘আওয়ামীলীগের দূর্দিনের কান্ডারি ভালো মানুষগুলোকে আমরা তাদের নায্যঅধিকার, সম্মান ফিরিয়ে দেব’’ সে বক্তব্যর প্রতিপলন হবে বলে মনে করেন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ’রা। ১৯৬২ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নোয়াখালীতে সফরে আসলে চৌমুহনী স্টেশনে শ্লোগান দেওয়া অবস্থায় ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে জাতীর জনক ট্রেনে নিজের বগিতে তুলে সাথে নিয়ে যান। তখন তিনি চৌমুহনী মদন মোহন হাইস্কুলের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র ছিলেন। সেই দিন থেকে তিনি জাতীর জনকের ভক্ত হন এবং মূলত উনার হাত ধরেই তার প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হয়। একই সালে কুখ্যাত হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। ১৯৬৫ সালের শেষের দিকে ডিফেন্স পাকিস্তান রুল(ডিপিআর) এ তিনি গ্রেফতার হন এবং মেট্রিক পরীক্ষার একাংশ তিনি জেলে থেকে দেন।

একই সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর পাকিস্তানের লাহোরে জাতীর জনক ৬ দফা দাবী ঘোষনা করেন এবং তিনি বিভিন্ন জন সভায় বক্তব্য দেওয়ার কারণে গ্রেফতার হন। এর পর ১৯৬৬ সালে ৭ জুন বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবী এবং ৬ দফার সমর্থনে হরতালের আগের দিন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ গ্রেফতার হন। ১৯৬৭-৭০ সাল পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ৬ দফার বই বিক্রির নামে ঢাকায় অবস্থান করে বাইতুল মোকাররম মসজিদের সামনে প্রতিদিন বিকালে সভা সমাবেশ অব্যাহত রাখেন যার কারণে তিনি একাধিকবার গ্রেফতার হন। ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুখ্যাত আগরতলার মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম চৌমুহনী কলেজ থেকে মিছিল বের হয়, যার অগ্রভাগে ছিলেন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ।

১৯৭০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারী মাওলানা মৌদুদীর সভা পন্ড ও মিথ্যা হত্যা মামলায় তাকে আসামী করে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধু সে সময় নিজেই মোহাম্মদ উল্যাহকে উক্ত মামলা থেকে রক্ষা করেন। একই সালে চৌমুহনী কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাকে ঢাকা থেকে এনে চৌমুহনী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে দল থেকে বাধ্য করা হয় এবং তিনি বিপুল ভোটে পূর্নপ্যানেল জয়লাভ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি নোয়াখালী জেলা স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধে তিনি ত্রিপুরার চোত্তাখোলায় ফেনীর মরহুম খাজা আহম্মদ এমপি ও মরহুম এম এ আজিজ সাহেবের সাথে ক্যাম্প নির্মানে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন এবং জেলা থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে ইচ্ছুক যুবক-তরুনদের তিনি সেখানে প্রেরনের ব্যবস্থা করেন। জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান মাহমুদুর রহমান বেলায়েত এর বিশস্থ হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর দলের কঠিন সময় তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করেন।

এ সময় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জেলা মুজিব বাহিনীর প্রধান এবং চাটখিলের এমপি মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জানতে পারেন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ আলসারে আক্রান্ত। তাৎক্ষনাত বঙ্গবন্ধু সরকারী গাড়ি পাঠিয়ে নোয়াখালী থেকে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে ঢাকায় নিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং বঙ্গবন্ধু নিজে তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। শেখ কামাল প্রায় তাকে দেখতে হাসপাতালে যেতেন।

দীর্ঘ ৩ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে জাতীর জনকের নির্দেশে আবার চৌমুহনী কলেজ ছাত্রসংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে বাধ্য হন এবং প্রতিপক্ষ দল অংশ গ্রহন না করায় তাকে আবার ভিপির দায়ীত্ব পালন করতে হয়। একই বছরে ১৯৭৫ সালে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মম ভাবে স্বপরিবারে হত্যা করার পর ১৫ আগষ্ট সকালে পুরাতন এমপি হোস্টেলে এমপিদেরকে নিয়ে মরহুম ওবায়দুর রহমান (পরবর্তিকালে বিএনপি নেতা) সভা ডাকেন উক্ত সভায় ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ তাকে প্রশ্ন করেন-আপনারা সবাই বেঁচে আছেন কিন্তু কি অপরাধে বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে লাশ হয়ে ৩২ নাম্বারে পড়ে আছেন।

তখন ওবায়দুর রহমান সাহেবের সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়ালে কয়েক জন এমপি ও আর্মি সদস্যরা ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে সভা থেকে বের করে দেন। তিনি সেখান থেকে বের হয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে ছদ্মবেসে নোয়াখালীতে চলে আসেন এবং সন্ধা ৭ টায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে চৌমুহনীতে বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন। এর পর দিন আনুমানিক রাত ১২ টায় তিনি গ্রেফতার হন। সেই সময় তিনি প্রায় তিন বছর জেলে ছিলেন। জেল থেকে আসার কয়েক দিনের মধ্যে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহর পিতা মারা যান। পিতার মৃত্যুর শোক বুকে নিয়ে কঠিন সময়ে তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গসংগঠনের হাল ধরেন।

সেই দিন দলকে আর্থিক ভাবে দেখার মতো কেউ ছিলনা। তিনি খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্ট করে দলের হাল ধরে রেখেছিলেন। ১৯৮১ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের সভানেত্রী হওয়ার পর প্রথম জনসভা হয় নোয়াখালীতে। সেই জনসভা সফল করার জন্য ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ সারা নোয়াখালীতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন এবং জনসভা সফল হয়।

১৯৮১ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি এরশাদ বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করার কারণে একাধিকবার গ্রেফতার ও জুলুম নির্যাতনের শিকার হন। ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর চৌমুহনীতে ১৬ই ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের মিছিল চলাকালে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে লক্ষ করে বোমা হামলা করা হলে তার ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ওই সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং কৃত্রিম চোখ সংযুক্ত করা হয়।

২০০১ সালে পূনরায় বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি আবার যুলুম নির্যাতনের শিকার হন এবং ঢাকার অফিস ও চৌমুহনীর দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হাত চাড়া হয়ে যায়। একই সময় তিনি দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা ও বিএনপি সরকার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ সালের পর (২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারী) আওয়ামী লীগের কোন নেতা এই প্রথম বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি হলেন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহ। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা কালে তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগনের আস্থা অর্জন করেন।

আওয়ামী লীগের রাজনীতির এই পরীক্ষিত নেতাকে দল ও প্রশাসন থেকে সরাতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু তিনি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে জাতীর জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজও নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু তাকে ৬ দফার মোহাম্মদ উল্যাহ ও কালো মানিক বলে ডাকতেন।

এছাড়া তিনি ১৯৬২ সালে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে রাজনীতি শুরু করার পর থেকে চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, চৌমুহনী নগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, চৌমুহনী কলেজের দুই বারের ভিপি, নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি অহিংসা পরম ধর্মে বিশ্বাসী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি অনেক গুরু দায়িত্ব পালন করলেও কখনো নিজের স্বার্থের দিকে তাকাননি। দল ও দেশের স্বার্থকেই বড় করে দেখেন। তিনি নিজে নেতা না হয়ে অন্যকে নেতা তৈরী করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। যার কারণে তার হাজার হাজার কর্মী আজ জাতীয় ও স্থানীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত ও দলের হাল ধরে আছেন।

এ জন্যই তাকে নেতা-কর্মী গড়ার কারিগর বলা হয়। তাইতো সকল ক্ষেত্রে দলের নেতা-কর্মীরা ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে এগিয়ে রাখেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন মাধ্যমের জরিপে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে সমর্থন দিয়ে ছিলেন। বার বার দল ক্ষমতায় আসলেও এবং তিনি নিজে ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান থাকার পরও বাড়িতে একটি ঘর নাই। বর্তমানে তিনি ভাড়া বাসায় থাকেন। চৌমুহনী বাজারে এক টুকরো জায়গা নেই। অথচ তিনি ইচ্ছা করলে অনেক ধন-সম্পদের মালিক হতে পারতেন। যার প্রতিদান স্বরুপ তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগন ভিপি মোহাম্মদ উল্যাহকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চেয়েছিল কিন্তু এক শ্রেনীর কুচক্রমহলের কারনে সেটাও আর হয়নি।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৮, ২০২১)