জসিম উদ্দিন জুয়েল, টঙ্গী (গাজীপুর) : ১২টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৯৭৪ সালে গঠন করা হয় ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী পৌরসভা। ১৬ই জানুয়ারি ২০১৩ সালে টঙ্গী ও গাজীপুর পৌর এলাকা নিয়ে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গঠনের সিদ্ধান্ত হলে পৌরসভাটি বিলুপ্ত হয়ে বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন জোন-০১ এর কার্যালয় হিসেবে চলছে। মোঃ আবুল হোসেন ১৯৮৩ সালে বিপুল ভোটে সেই ঐতিহ্যবাহী টঙ্গী পৌভসভার ৩নং ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হন। কমিশনার নির্বাচিত হয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পরবর্তী নির্বাচনেও দিত্বীয়বার কমিশনার নির্বাচিত হন। উনার সাফল্যর এই অগ্রযাত্রা তখনও শেষ হয়নি। তৎকালীন ১২টি ওয়ার্ডের কমিশনার সহ পৌর কর্মকর্তাদের আস্থা অর্জন করে তিনি টঙ্গী পৌরসভা কমিশনার প্যানেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সালিশি বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এভাবে সাবেক কমিশনার আবুল হোসেন জনসেবা ও দূরদর্শী নেতৃত্বের নিরলস পরিশ্রমে একটানা চারবার কমিশনার নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। সর্বশেষ আওয়ামী বর্ষীয়ান নেতা ও মধ্য আউচ পাড়ার স্বনামধন্য মোল্যাবাড়ির সুযোগ্য সন্তান মোঃ নাসির উদ্দিন মোল্যার নিকট পরাজিত হন দীর্ঘ ২২ বৎসরের কমিশনার পদে থাকা মোঃ আবুল হোসেন। 

মোঃ আবুল হোসেনের পিতা মরহুম শুক্কুর আলী ছিলেন ধার্মীক মানুষ। আজ সেই সাবেক চারবারের নির্বাচিত কমিশনার মোঃ আবুল হোসেন (৬৫) এখন নানাবিধ শাররীক সমস্যা নিয়ে মসজিদ এবং বাসায়ই কাটে তার অধিকাংশ সময়। এমন একজন মানুষকে জীবনের ক্রান্তিলগ্নে এসে হটাৎ করেই কিছু আপত্তিকর অভিযোগ শুনতে হলো। অভিযোগকারী অন্য কেউ নন, তারই বংশের কনিষ্ঠতম এক আত্মীয়। সুলতানা রাজিয়া রোড, মধ্য আউচপাড়া, সাবেক ৩ নং যা বর্তমান ৫৪ নং ওয়ার্ড, টঙ্গী গাজীপুর সিটি নিবাসী মোঃ সাব্বির হোসেন (২৫)।

পারিবারিক সম্পত্তির একটি অংশ নিজেদের দাবি করে সাব্বির হোসেন তুলছে নানাবিধ অভিযোগ। সাবেক এই কমিশনার সম্পর্কে সাব্বির হোসেন (২৫) সংবাদকর্মীদের কাছে বলেন, তাহাদের পৈত্রিক সম্পত্তি যাহার এসএ খতিয়ান নং-২০৩, আরএস খতিয়ান-৩০৪, এসএ দাগ-৬৮৩,৬৮৪ এবং আরএস-৯৯৫ মোট ৪৮ শতাংশ ও ইহার কাতে ১০.৮৩ শতাংশ ভোগ দখলকৃত জমি ভূমিদস্যু, দাঙ্গাবাজ, মোঃ আবুল হোসেন, আয়শা আক্তার, নুরুন্নাহার, মোঃ জুয়েল, সোহেল, বাবু সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দখল করার চেষ্টা করে এবং তাদের গুম সহ প্রাননাশের হুমকি পর্যন্ত দেয়। সাব্বির এই বিষয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় একটি পিটিশন মামলা দায়ের করে যাহার মামলা নং- ২৬১।

সাব্বির জানায়, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত নালিশি সম্পত্তিতে শান্তি-শৃখলা বজায় রাখতে টঙ্গী পশ্চিম থানা অফিসার ইনচার্জ ও সহকারি কমিশনার ভূমি টঙ্গী অঞ্চলকে নির্দেশ প্রদান করেন। টঙ্গী পশ্চিম থানা উভয় পক্ষকে গত ১২ই মার্চ ২০২১ ইং তারিখে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে একটি নোটিশও প্রদান করে। অপরদিকে যে জায়গা সাব্বির হোসেনদের দখলে থাকা এবং যা জোর করে দখলের চেষ্টা করার অভিযোগ, সেই একই জায়গা সম্পর্কে আবার সংবাদকর্মীদের বলছে প্রভাশালী বাড়ি নির্মাণকারী ডেভেলপমেন্ট কোম্পানী হলি-হোমস সেখানে বাড়ি নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাব্বির হোসেন যে জায়গাকে তাদের দখলে থাকার কারনে উচ্ছেদের হুমকি পাচ্ছে অভিযোগ করে, সেখানে বাড়ি নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন যাবত চলছে।

আবুল হোসেন সম্পর্কে সাব্বির হোসেন আরো জানায়, কমিশনার থাকাকালীন আবুল হোসেন মানুষের কাছে চাঁদা দাবী করতেন এবং জনৈক রসুলবাগ নিবাসী একজন মুক্তিযোদ্ধার জমির ভিতর দিয়ে রাস্তা করেন। বলেন, আবুল হোসেন ভূমিদস্যু, দাঙ্গাবাজ, চাঁদাবাজ, একজন খুব লোভী, পরের সম্পদ আত্মসাৎকারী, মসজিদের কল নিজ বাড়িতে স্থাপনকারী ফলে এই লোকের বিচার হওয়া উচিৎ। সাব্বির হোসেনের এই বক্তব্যগুলো গত ৬/৭/৮ই মার্চ ২০২১ইং তারিখগুলোতে দুই একটি অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত হলে দ্রুত তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

এমন তথ্য প্রকাশিত হতে দেখে সাবেক চারবারের নির্বাচিত কমিশনার দৈনিক বাংলা ৭১ ও উত্তরাধিকার৭১ নিউজের প্রতিনিধির সাথে একান্তে কথা বলেন। কথা বলতে গিয়ে তাকে লজ্জা, অপমানে কান্নায় আবেগ আপ্লূত হতে দেখা যায়। তিনি এমন তথ্য জেনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমার দাদা মরহুম মনসুর আলির দুই পুত্র যার একজন আমার পিতা মরহুম শুক্কুর আলী এবং অন্যজন আমার জেঠা মরহুম হাসান আলি। আমরা তিন ভায়ের মধ্যে আমি আবুল হোসেন মেঝো।

তিনি বলেন, আমার মরহুম জেঠা হাসান আলির ঘরে এক ছেলে মরহুম মনা সম্পর্কে আমার জেঠাতো ভাই। মরহুম মনার ছেলে মোঃ নুরু আমার ভাতিজা কিন্তু দুখঃজনক হলেও সত্য সে দীর্ঘদিনের মাদকাসক্ত হবার কারনে বেশ অসুস্থ। সেই ভাতিজা নুরুর ঘরের ছেলে আবার শহীদুল সেও মাদকাসক্ত আর এই শহীদুলের ছেলে হলো অভিযোগকারী বখাটে সাব্বির। আমার দাদার বড় পুত্রের ঘরের এই পরিবারটি মাদক সেবন সহ নানান অসামাজিক কার্যকলাপ আর বিলাসিতায় নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ বিক্রি করেকরে শুধু ভিটাটা ছাড়া কিছু অবশিষ্ট রাখেনি। তারা এমনকি তাদের নিজেদের অংশের পারিবারিক কবরাস্থান পর্যন্ত আমাদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এ সবই এলাকার গণ্যমাণ্য সহ সকলে অবগত। আমার নির্বাচিত সময়গুলোতে আমি এদের কারনে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

আজ হঠাৎ করে এতো দীর্ঘ বছর পর নিজেদের লোভের বর্শবর্তী হয়ে কিছু কুচক্রী স্বজন ও লোকের কুপরামর্শে আমাদের আইনত বৈধ দলিল করা অংশ যেখানে বাড়ির কাজ চলছে সেটাকে নিজেদের দখলের অংশ বলে সম্পূর্ন মিথ্যা ও স্পষ্টত গুজব ছড়াচ্ছে, যা আইনত দ-নীয় অপরাধ। একেবারেই উদ্ভট, আইনত ভিত্তিহীন এমন তথ্য দিয়ে কিছু সংবাদকর্মীকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। আমাদের দাদা-বাবা সকলের মধ্যে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি তৎকালীন ভূমি আইনের নিয়ম-মাপে বন্টন করে গেছেন। আমরা ভাইয়েরা যার যার অংশ বিরোধহীন ভোগ করছি। একটি সুনামধন্য নির্মানপ্রতিষ্ঠান হোলি-হোমস দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ি নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাহার কাজে বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সহ প্রশাসনের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

ইতিপূর্বে বাপ, জেঠা, নাতিদের কোনো অভিযোগ নেই। আজ হটাৎ নাতির ঘরে পুতির ছেলে অভিযোগ দিচ্ছে জেনে আমি যারপরনাই আশ্চর্য। সবচেয়ে ব্যথিত হই সাব্বিরের এহেন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কর্মকান্ডে, যাহাতে আমার পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত সুনাম নষ্টের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়। মোঃ আবুল হোসেন প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি ভূমিদস্যু কিভাবে হই! ভূমিদস্যুর সংজ্ঞা কি সে জানে? আমি দাঙ্গাবাজ কিভাবে হই! এর সংজ্ঞা সে কি জানে?। আমার ভাতিজা জুয়েল, সোহেল এবং বাবুকে বলছে তারা নাকি অজ্ঞাত সন্ত্রাসী। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে জুয়েল সামাজিক বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা সহ মাদক বিরোধী সচেতনতামূলক সংগঠন এবং ব্যবসার সাথে জড়িত, সোহেলও ব্যবসা করে, আর ভাতিজা ফাহিম হোসেন বাবু মেধাবী ছাত্র, সে সাউথইষ্ট ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

সাবেক কমিশনার আবুল হোসেন বলেন, আমার বড় ছেলে রাজউক কলেজ হতে পড়াশোনা পরবর্তী মাস্টার্স সহ আরো পড়াশোনা করে আজ দেশের স্বনামধন্য মিডিয়া এটিএন বাংলার একজন ইঞ্জিনিয়ার। ছেলে-মেয়ে সবাই উচ্চ শিক্ষিত এবং সমাজে সকলের স্নেহের পাত্র। অথচ সাব্বির ও তার বাবা লেখাপড়া না করে বেপরোয়া জীবন-যাপনে পারিবারিক সুনাম সহ নিজেদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ নষ্ট করেছে। সাবেক চারবারের কমিশনার, প্যানেল বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং সালিশি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন সবিনয়ে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষানগরী ও শিল্পনগরী টঙ্গীর সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাবেক সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, সকল শ্রেনি-পেশার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, সচেতন নাগরিক সমাজ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক সমাজের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জীবনের শেষ বয়সে এসে এভাবে আমার মত একজন মানুষ সম্পর্কে অর্থহীন, কল্পিক, আক্রমনাত্মক এবং কুরুচীপূর্ণ গুজব ছড়িয়ে যে শিষ্টাচার বহির্ভুত কাজ সাব্বির করছে তার বিচার এবং বিবেচনার দায়িত্ব আমি আপনাদের বিবেকের আদালতে পেশ করলাম। আপনারা অধিক অবগত তথাপি তদন্ত করুন যদি তার অভিযোগের বিন্দুমাত্র সতত্যা থাকে। এই ঘটনায় আমার মানহানি ঘটেছে যার জন্য আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় চেয়ে মানহানির মামলার বিষয়েও চিন্তা করছি। এবং আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। এসব মেনে নেয়া হলে সমাজে শিষ্টাচার থাকেনা। আমার বয়স হয়েছে এতো বড় একটি ওয়ার্ডে মাত্র এক দুইজনের নাম উদৃত করে আমার বিরুদ্ধে জোর করে রাস্তা করার অভিযোগ কতটুকু গ্রহণযোগ্য। একজন কমিশনার হয়ে দীর্ঘ ২২ বছরে আমি অনেক রাস্তা সহ সামজিক উন্নয়ন কাজ করেছি।

আজ আপনারা যারা দায়িত্বে আছেন উন্নয়ন কাজের জন্যই ত জনগণ আপনাদের নির্বাচিত করেছেন। তাই নিশ্চয়ই আপনারা ভালো বুঝবেন। রাস্তাতো নিয়ম মেনে জনগনণের জন্যই করেছি, নিজের বাড়ির জন্য নয়। আর আমার দায়িত্বকালীন সময় সাব্বিরের তো জন্মই হইনি! তাহলে সে কি করে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করতে পারে।

তিনি আরো প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি নাকি মসজিদের কল নিজের বাড়িতে স্থাপন করেছি ! সামাজিকতা থেকে কতোটা দূরে হলে সে এমন কথা বলে আপনারাই জানেন। সে যে মসজিদের কথা বলছে, সেই বায়তুল আকরাম জামে মসজিদের আমি এখনো মাদ্রাসা বোর্ডের সভাপতি। এটা আমাদের এলাকার সকলের মসজিদ। যা সকলের সহযোগিতায় আজকে এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদে পরিনত হয়েছে। আমি নিজ অর্থে এই মসজিদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এটা আল্লাহর জন্য আমাদের ইবাদত করার পবিত্র ঘর। মসজিদের ইমাম মুসুল্লিরা অবগত আছেন, আমি এই মসজিদের অবকাঠামো উন্নয়নে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে কি পরিমাণ সহযোগিতা করেছি। সকলের সুবিধার জন্য এসি, ফ্যান সহ নানাবিধ কাজে অংশগ্রহণ করেছি এবং করছি।

সরেজমিন এলাকার বিশিষ্টজন, প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাম না প্রকাশ করার শর্তে আবার অনেকে স্পষ্টই বলেন, মোঃ সাব্বির উঠতি বয়সেই উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার সাথে কিছু বখাটে ছেলেদের সাথে চলাফেরা। সে কিছুদিন পূর্বেও মারামারিতেও জড়িয়ে পড়ে। এদিকে বায়তুল আকরাম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ ইউনুস সাইদীর সাথে কথা বললে, তিনিও মসজিদের জন্য সাবেক কমিশনার আবুল হোসেনের উদার অবদানের জন্য দোয়া করেন। পাশাপাশি মসজিদের সাথে দায়িত্বে থাকা এমন সম্মানিত একজন জনপ্রিয় এবং বয়োজ্যেষ্ঠ গুণীজন সম্পর্কে এধরনের অভিযোগ শুনে বিস্ময় এবং ভিষণ দুঃখ প্রকাশ করেন।

জনাব আবুল হোসেন টঙ্গীর স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফিউদ্দিন সরকার একাডেমির সাবেক গভর্নর বডির মেম্বার, টঙ্গীর আরেক স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কলেজের উপদেষ্টা, পাইলট ঈদগাহ মাঠের সভাপতি এবং আউচপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত।

(জে/এসপি/এপ্রিল ১০, ২০২১)