মাদারীপুুর প্রতিনিধি : ভুয়া সেনাবাহিনীর মেজর ও মেরিন অফিসার পরিচয় দানকারী নারীসহ ৪ প্রতারককে আটক করেছে মাদারীপুর সদর মডেল থানা পুলিশ। 

শনিবার দুপুুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের হালিম মাদবরের বাড়ি থেকে চার প্রতারককে আটক করা হয়।

আটকরা হলো খুলনা পাইকগাছার রবিউল ইসলামের ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৯), বরগুনার আবদুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে শাহীন হাওলাদার (৩২) ও শাহিনের স্ত্রী শিরিন বেগম (২৬) এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম (৩০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঐ প্রতারক চক্র মাদারীপুর সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের হালিম মাদবরের ছেলে রনি হোসাইনকে চাকরি দেয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে অবস্থান করে। এসময় অভিযুক্ত মাসুদ পারভেজ নিজেকে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হিসেবে পরিচয় দেয়। অপর অভিযুক্ত শাহিন হাওলাদার নিজেকে পরিচয় দেন মেরিন অফিসার হিসেবে। এরপর ভুয়া মেরিন অফিসার শাহিন হাওলাদার তার স্ত্রী শিরিন বেগমকেও নিয়ে আসে হালিম মাতুব্বরের বাড়ীতে। সেখানে সুসম্পর্ক তৈরি করে চাকুরী দেয়ার কথা বলে এক সপ্তাহ অবস্থান করে।

এ সময় ঐ প্রতারক চক্র বিভিন্ন অজুহাতে হালিম মাদবরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এতে হালিম মাদবরের সন্দেহ হয়। পরে শনিবারে দুপুরে হালিম মাদবর পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের প্রতারণার কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড ও বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড জব্দ করেছে।

প্রতারণার শিকার রনি হোসাইন জানায়, আমার মামা আব্দুল কায়েম বনফুল পরিবহণের ড্রাইভার। সেই সুবাদে মামার সাথে পরিচয় হয় মাসুদ পারভেজের। সে নিজেকে লেফটেন্যান্ট কর্ণেল হিসেবে পরিচয় দেয়। এক সময় আমার মামার সাথে মাসুদ পারভেজ এর ঘনিষ্ঠতা হয়। তখন মামা আমার চাকুরীর ব্যাপারে কথা বলেন। এসময় মাসুদ পারভেজ আমাকে এনএসআইতে চাকুরির ব্যবস্থা করে দিবে বলে জানান এবং আমাদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। বেড়াতে এসে তারা এক সপ্তাহ অবস্থান করে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নিতে থাকে। তাদের বিভিন্ন আচরণ দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে আমরা পুলিশকে খবর দেই। পরবর্তীতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ সত্যতা পায়। তাই আমি এই চার প্রতারকের বিচার চাই। যাতে এভাবে অন্য কারো সাথে আর প্রতারণা করতে না পারে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার এএসআই মো. আনিস হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করে থানায় এনেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এই ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এএস/এসপি/এপ্রিল ১০, ২০২১)