ফেনী প্রতিনিধি : ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের যুব দলের সন্ত্রাসী ক্যাডার আবুল হোসেন মিয়া (মিয়া মেম্বার) ইউনিয়ন আ.লীগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছে, গত ১ এপ্রিল ধলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ।

ফেনীর যুবলীগ নেতা বেন্ডু হাজারী ও সোনাগাজীর মফজল হক সহ ১০/১২ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে যুবদলের সন্ত্রাসী ক্যাডার এই আবুল হোসেন মিয়া'র বিরুদ্ধে ।

ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করিমুল হক জানান, সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের প্রস্তাবিত পু্র্নাঙ্গ কমিটি জেলা আ.লীগের নির্দেশক্রমে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ।

স্থানীয়রা জানায়, মিয়া মেম্বার '৯০ এর দশকে ফেনীর জয়নাল হাজারীর গঠিত স্ট্রীয়ারিং কমিটির সদস্য ছিল, বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় এলে সে ধলিয়া ইউনিয়ন যুবদলে যোগ দেয় । সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ও ফেনীর ধলিয়া, এই ইউনিয়ন দুটি দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা । ফেনী-সোনাগাজী মহাসড়কের ধলিয়া, ফাইভস্টার, ডাকবাংলা ছিলো সেই সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের ট্র্যানজিট পয়েন্ট ।

মিয়া মেম্বার যুবদলের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ক্যাডার মিনার, বস্তা সবুজ, জাহাঙ্গীর, কালাম, কামরুল ও সাহাব উদ্দিন মেম্বারদের সাথে যুক্ত হয়ে যুবদলের পদ ব্যবহার করে এলাকায় চুরি ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে, তখন থেকেই এলাকার মানুষ তাকে ফেনীর দক্ষিণ অঞ্চলের ত্রাস মিয়া ডাকাত হিসাবেই চেনে । বিতর্কির এই লোককে আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুক্ত করায় জনমনে বিরূপ মনোভাব দেখা দিয়েছে ।

ধলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি মাস্টার জোবায়ের শাহ রিমন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছার সবুজ জানান, আবুল হোসেন মিয়া এক সময় জয়নাল হাজারীর স্ট্রিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিল, পরবর্তীতে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়, ২০১৪/১৫ সালে ফেনীর এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর মাধ্যমে পুনরায় আ.লীগে যোগদান করে, সে ধলিয়া ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ।

ইউনিয়ন আ. লীগের রেজুলেশনে তার নাম ৫ নং সদস্য হিসেবে প্রস্তাবিত ছিল, কীভাবে তার নাম সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এলো সে ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ ।

ভিকটিম আবুল হোসেন মিয়া জানান, ১৯৯৩ সাল থেকেই আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির যুক্ত ছিলাম, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময়ে মামলা হামলা ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিএনপি'র রাজনীতির সাথে যুক্ত হই, পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ফেনীর এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও জেলা আ.লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বি কম'র হাতে ফুল দিয়ে পুনরায় আওয়ামী লীগে যোগদান করি । আ.লীগের ১০/১২ নেতা কর্মী হত্যার অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন ।

তিনি জানান, শুধু মাত্র মফজল হক হত্যা মামলায় তাকে ২৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে যাহা এখনও আদালতে বিচারাধীন, এছাড়া আর কোন মামলায় তার নাম নাই ।

(এনকে/এসপি/এপ্রিল ১০, ২০২১)