ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে কৃষক ধানচাষ করেছিলেন। আর মাত্র ১৫-২০ দিন পরই ধান কেটে ঘরে তোলার কথা। বৈরী আবহাওয়ায় সেই ধান শুকিয়ে চিটা হয়ে কৃষকে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।

ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। চিটা হওয়া এ ধানের কারণে চলতি বোরো মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক। কৃষি অফিস জানায়, অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সার ব্যবহার ও হঠাৎ করে বাতাসের আর্দ্রতা কমে দিনে গরম পড়ায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

সব ঠিকঠাক মতোই চলছিল। মাঠের দিকে তাকালে কৃষকের মন-প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। ১০ এপ্রিল সকালে কৃষকরা মাঠে গিয়ে দেখেন 'মন্দ হাওয়া'র কারণে এবং ব্লাস্ট রোগে তাদের সর্বনাশ হয়েছে। দুর্যোগের পরই বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ধানক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের শীষ চিটায় পরিণত হয়েছে। আমিনপাড়া এলাকার কৃষক জুলহাস উদ্দিন জানান, গরম বাতাসে ধান নষ্ট হওয়ার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ জানান, চলতি বছর উপজেলায় ২ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। হঠাৎ করেই তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি অতিক্রম করায় দুর্ভাগ্যবশত 'লেমাপলিয়া' খোলার সময়ে এই বাতাস প্রবাহিত হয়েছে। এ প্রভাবে ঈশ্বরদীতে মোট বোরো ধানের জমির প্র্রায় ১৫-২০ শতাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি ধান রক্ষার জন্য জমিতে সবসময় পানি রাখা এবং জমিতে বিঘাপ্রতি ১০ লিটার পানির সাথে ১০ গ্রাম 'এমওপি' ও 'হিয়োভিট' স্প্রে করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঈশ্বরদীতে ব্লাস্ট রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে ধানের জমি। ঈশ্বরদীতে এবারে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবার পূরণ হবে না বলেই ধারণা করা হয়েছে বলে এই কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০২১)