টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া মৌজার এসএ ৪২ নম্বর খতিয়ানের এসএ দাগ নং ২৫১ নতুন দাগ ২৯৭ এর ৭৪ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৩৭ শতাংশ ভূমি জবরদখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। সারপলশিয়া গ্রামের মো. জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. জাকির হোসেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কাছে ওই অভিযোগ দাখিল করেছেন। 

অভিযোগে প্রকাশ, ভূঞাপুর উপজেলার এসএ দাগ নং ২৫১ নতুন দাগ ২৯৭ এর ৭৪ শতাংশ ভূমির মধ্যে ৩৭ শতাংশ ভূমির পৈত্রিক সূত্রে মালিক মো. জাকির হোসেন। একই উপজেলার সিরাজকান্দি এলাকার ২ নং পুনর্বাসনের বাসিন্দা মো. আকতার হোসেনের ছেলে মো. বাছেদ আলী উল্লেখিত ৩৭ শতাংশ ভূমি জবরদখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। বাধা দিতে গেলে স্থানীয় মাস্তান শ্রেণির লোকজন দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। জেলা প্রশাসক বিষয়টি আমলে নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারকে(ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগকারী মো. জাকির হোসেন জানান, ওই মৌজার ৭৪ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ৩০ শতাংশ ভূমি বঙ্গবন্ধুসেতু গোলচত্তর-গোবিন্দাসী সড়কের প্রয়োজনে সরকার অধিগ্রহন করেছে। অধিগ্রহনের টাকা ওই জমির অপর অংশিদার তার চাচা হারু মন্ডলের তিন ছেলে আ. জুব্বার, ফজলুল হক ও ওমর আলী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে উঠিয়ে নিয়েছেন। তারা ওই জমির আরও ৭ শতাংশের অংশিদার। ওই ৭৪ শতাংশ জমির ৩৭ শতাংশের পৈত্রিক সূত্রে মালিক মো. জাকির হোসেন। কিন্তু মো. বাছেদ আলী ৭ শতাংশ ভূমি অংশিদারদের কাছ থেকে ক্রয় করে পুরো ৭৪ শতাংশ জবরদখল করে নিয়েছেন।

মো. বাছেদ আলী জানান, তিনি ওই জমি ক্রয় করে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। কেউ জায়গা পেলে যারা বিক্রি করেছে তাদের কাছে পাবে, তিনি কারো জমি জবরদখল করেন নাই।

নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার জানান, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন। তবে জমি-জমা নিয়ে তাদের মধ্যে মামলা রয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ১৩, ২০২১)