স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : গাজীপুরের মাইশা মনীশা নীটওয়্যারর্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভবন মালিকের প্রতারণায় ভাড়াটিয়াকে নিঃস্ব ও জামানতের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগ করে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন মোঃ রুহুল আমীন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভাড়াটিয়া পক্ষ টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর পরিচালক মোঃ রুহুল আমীন লিখিত বক্তব্যে বলেন, অগ্রিম জামানত বাবদ পাওনা ৩৩ লক্ষ টাকা না দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড এর মালিক কে বি এম ওবায়েদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ১লা এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখ হতে মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড, সি-২৫/১, চৌধুরী বাড়ি রোড, ভোগড়া বাজার, গাজীপুর ঠিকানার বাড়িটি ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে উভয় পক্ষের সম্মতিতে ৪টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। এর আলোকে সর্বমোট ৮৫ লক্ষ ২০ বিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয় ভবন মালিককে। এর মধ্যে অগ্রীম বাবদ মোট ৭০ লক্ষ টাকা, মাসিক ভাড়া বাবদ ১১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা এবং লোন হিসাবে ৪ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয় চুক্তির শর্ত মতো ব্যাংক হিসাবে। মাসিক ভাড়া বাবদ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ পূর্বক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।

পরবর্তীতে মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড এর মালিক কে বি এম ওবায়েদ, তাঁর স্ত্রী ও কন্যা কর্তৃক টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড (ভাড়াটিয়াগণ) কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ঝামেলা ও হয়রানী করে ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত চার মাস বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার দরুন টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর শ্রমিক ও স্টাফদের বেতন বাবদ ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ভর্তুকী হয়েছে। বিগত ২০/১/২০১৯ তারিখে টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও পরিচালক এর নামে কে বি এম ওবায়েদ, গাজীপুর সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা (৪৬০/২০১৯) দায়ের করেন। মামলার বিষয়বস্তু ছিল- তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত একাউন্টে মাসিক ভাড়ার টাকা জমা দেওয়া।

সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক এর নিকট ৮ কোটি টাকা ঋণখেলাপী মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে কারখানা ভাড়া নেওয়ার পর নতুন বিল্ডিং নির্মাণ, টাইলস, ইলেকট্রিক ওয়্যারিং ইত্যাদি পুনরায় সংস্কার করার জন্য টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড নিজস্ব তহবিল থেকে ১ কোটি টাকা খরচ করেছে। সবকিছু মিলিয়ে কারখানা ভাড়া নেওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর প্রায় ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও করোনাকালীন সময়ে বিগত ৬ মাস ৩ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ পরিস্থিতিতে বর্তমানে কারখানার পার্টি পেমেন্ট পরিশোধের জন্য অগ্রিম জামানত বাবদ পাওনা ৩৩ লক্ষ টাকা ও অন্যান্য ক্ষতিপূরণের অর্থ না দিয়ে নানাভাবে হয়রানী করে চলেছেন মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড এর মালিক মালিক পক্ষ।

এই পাওনা মাইশা মনীশা নীট ওয়্যার লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বুঝাইয়া না দেওয়া পর্যন্ত কারখানার দখল ছেড়ে দেওয়া সম্ভব না এবং জানুয়ারী ২০২১ হতে কোন ভাড়া প্রদান করা সম্ভব না। এই ব্যাপারে বাড়ির মালিককে জানানো হলে কোন প্রকার সহযোগিতা না করায় বর্তমান প্রতিকুল পরিস্থিতিতে কারখানা পরিচালনা করা টেক্স-ডিজাইন নীট ওয়্যার লিমিটেড এর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এস/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২১)