নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে স্কুলের নামে সামছুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কবলাসুত্রে ক্রয়কৃত সম্পত্তি থেকে তাকে উচ্ছেদ করার উদ্দেশ্যে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। 

মারপিট করা ছাড়াও বেড়া দিয়ে পুরো পরিবারকে আটক করে রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তি গরীব ও অসহায় হওয়ার কারনে পুলিশ তার অভিযোগ নেয়া তো দুরের কথা বরং তাকে হুমকী দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পুরো গ্রাম স্কুলের পক্ষে হওয়ার কারনে ওই পরিবার সম্পূর্ন একা দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন। এমন কি পরিবারটির চুলা করার মত জায়গা না থাকায় পুরো পরিবার কয়েকদিন ধরে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার রানীনগর উপজেলার বড়খোল গ্রামে।

উক্ত সামছুর রহমানের অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, বড়খোল মৌজার সাবেক জে এল নং ৩১০, আর এস জে এল নং ১ এস এ খঃ ২৯১ আর এস খঃ ১৬৭, এস এ দাগ নং ৫১০, আর এস দাগ নং ৪১৭, ৪২০ মিলিয়ে মোট ২৯ শতাংশ জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন । উক্ত সামছুর রহমানরা যে ব্যক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছেন পরবর্তীতে তার ওয়ারিশদের নিকট থেকে বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জমি ক্রয় করে। সামছুর রহমানের মতে তিনি যে সম্পত্তিতে বসবাস করেন সেটি ৪২০ দাগ নম্বরে। আর স্কুল ক্রয় করেছে ৪১৯ দাগ নম্বরের জমি। বর্তমানে উক্ত বড়খোল উচ্চ বিদ্যালয় কর্ত্তৃপক্ষ সামছুর রহমানকে তার সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করে দখলের প্রচেষ্টা চাালাচ্ছে। এক পর্যায় স্কুলের ভবন নির্মান করার সময় বাধা দিলে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে সামসুর রহমান ও তাদের পরিবারের সকলকে মারপিট করে। গ্রাম থেকে উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নেয়া হয়।

এই প্রক্রিয়া জানতে পেরে পূর্ববর্তী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে সকল কাগজপত্র পর্যালোচনা করে উক্ত সামছুর রহমানকে তাঁর ভোগদখলকৃত সম্পত্তি যথারীতি ভোগ দখল করতে থাকবে বলে নিষ্পত্তি করে দেন। সেই থেকে ভালো ছিলেন। কিন্তু উক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদলী হলে পুনরায় স্কুল কর্ত্তৃপক্ষ গ্রামের সকলকে নিয়ে পুনরায় সামছুর রহমানের বাড়ি জবরদখলের প্রক্রিয়া শুরু করে। সম্প্রতি তার বাড়িঘর ভংচুর করে। রান্নাঘর ভেঙে তার বাড়ির চারিদিকে বেড়া দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বর্তমানে তারা বাড়ি থেকে বের পর্যন্ত হতে পারছেন না।

এ ব্যপারে তারা বর্তমান ইউ এন ওর কাছে পরিস্থিতি বাখ্যা করেন। রানীনগর থানায় একটি অভিযোগ করতে গেলে উক্ত থানার অফিসার্স ইনচার্জ অভিযোগ গ্রহণ না করে বরং তাকে স্কুল কর্ত্তৃপক্ষের এবং গ্রামবাসীর সুরে সুর মিলিয়ে তাকে বলে ওইটা স্কুলের জমি। তুমি কেন নাক গলাচ্ছো? স্কুলের জমিতে স্কুলের ঘর হবে। তুমি যেখানে ইচ্ছা যাও। পুলিশের এমন আচরণে সামছুর রহমান হতবাক হয়ে বাড়ি ফিলে যান। শেষ পর্যন্ত কারও নিকট কোন সুরাহা না পেয়ে সাংবাদিকদের নিকট ধর্না দেন।

(বিএস/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২১)