ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে তৎপর চালাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা। সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কাজ করছেন সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে।   

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে ফুলবাড়ী শহরের ঢাকা মোড়, নিমতলা মোড়, বাসস্ট্যান্ড, টিটিই মোড়সহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে গণপরিবহন কোচ, বাস ও মিনিবাস চলাচল নেই। তবে সড়কে চলেছে পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেদাচ্ছে চলেছে মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, কার, নছিমন, করিমন, পাগলু, অটোরিকশাসহ ইজিবাইক যান। মানুষের উপস্থিতি কম থাকলেও ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই।

এদিকে ফুলবাড়ীতে ফুলবাড়ী-দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া আঞ্চলিক ও মহাসড়কে সর্বাত্মক লকডাউন মানাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরা। তবে কোনো কারণ ছাড়াই গাড়ি নিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন অনেকেই। লকডাউন নিয়ে তাদের উদাসীনতা দেখা গেছে। লকডাইন ঘোষিত হলেও তা অমান্য করে বের হয়োয় ফুলবাড়ীতে ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল, কার ও মাইক্রোবাস আটক করে জরিমানা করা হচ্ছে।

শহরের মন্ত্রী মার্কেট এলাকা, ঢাকা মোড় ও সেনা মার্কেটের সামনের সড়কে চেকপোস্ট রসিয়েছে পুলিশ। চেকপোস্টে যানবাহন থামিয়ে সড়কে বের হওয়ার কারণ এবং মুভমেন্ট পাস আছে কীনা তা জানতে চাওয়া হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন রয়েছেন পুলিশ এমন বিষয়ে আশ্বস্ত হলে পরে যেতে দিচ্ছেন। অন্যথায় একই পথে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। একইভাবে শহরের লকডাউন ভুক্ত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এবং সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) পুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে শহর ব্যাপী দফায় দফায় অভিযান অব্যাহত রাখেন। লকডাউন না মানার অপরাধে নামমাত্র কিছু অর্থ জরিমানা করে অনুরোধ-বিনোরোধ করে লকডাউন মেনে বাড়ীতে থাকার অনুরোধ জানাচ্ছেন এই দুই নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।

ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সাথে পুলিশ সদস্যরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে। একই তার (ওসির) নেতৃত্বে একদল পুলিশ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা টহল দিচ্ছে।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কানিজ আফরোজ বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন কাজ করছে। মানুষ সচেতন হলেই এই করোনা নামের মহামারীর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া যায়। কিন্তু মানুষকে এতো বলার পরও কেন যেন বিয়ষটিতে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা চাই মানুষ নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য বাড়ীতে অবস্থান করুক। লকডাউনভুক্ত বিষয়গুলো কার্যকর করতে প্রশাসন কাজ করছে। তবে অর্থ জরিমানা নয়, আমরা মানুষকে সচেতন করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বাড়ীতে থাকতে বলা হচ্ছে। এরপরও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ব্যতিত অযথা যারা ঘর থেকে বের হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এসিজি/এসপি/এপ্রিল ১৫, ২০২১)