আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। এরমধ্যে ফাইজারের টিকা বেশ কার্যকারিতা দেখাতে সক্ষম হয়েছে।

ভাইরাসটি প্রতিরোধে আরও কয়েকটি টিকার প্রয়োগ ইতোমধ্যে চলছে। এসব টিকা নিয়ে মানুষ আশাবাদী হচ্ছেন। যদিও এরমধ্যেই ভাইরাসটির বিভিন্ন ধরন টিকার কার্যকারিতাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। টিকার কার্যকারিতার পাশাপাশি তা কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে তা এখনো নিশ্চিত নন গবেষকরা। হয়তো এ ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রতিবছর টিকা নিতে হতে পারে মানুষকে। এমনটাই জানাচ্ছেন ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার এ মন্তব্য প্রচার করা হয়। যদিও তা ধারণ করা হয় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল)। খবর সিএনবিসির।

আলবার্ট বোরলা বলেন, মানুষকে প্রতিবছরই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিতে হতে পারে, এটা একেবারে অমূলক নয়। তাছাড়া কোভিড-১৯ এর টিকা নেওয়ার ১২ মাসের মধ্যে মানুষের ‘সম্ভবত’ একটা বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হবে।

‘পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্ভবত করোনা প্রতিরোধী টিকার ৩য় ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। সেটা হতে পারে ছয় মাস বা ১২ মাসের মধ্যে। হয়তো প্রতিবছর টিকা নিতে হতে পারে। তবে আগে এসব বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া দরকার। এজন্য ভাইরাসের ধরন মূলত মূল ভূমিকা পালন করবে। ’

জনসন অ্যান্ড জনসনের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স গোরস্কি সিএনবিসিকে ফেব্রুয়ারিতে দেওয়া এক মন্তব্যে বলেছিলেন, মানুষকে প্রতিবছর হয়তো করোনা প্রতিরোধী টিকা নিতে হতে পারে।

এ মন্তব্যের পর ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলাও একই অনুমানের কথা জানালেন।

যদিও এখন পর্যন্ত টিকা নেওয়ার পর তার কার্যকারিতা কতদিন পর্যন্ত থাকে গবেষকরা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি।

ফাইজার সম্প্রতি জানায়, তাদের করোনা প্রতিরোধী টিকা ৯১ শতাংশ কার্যকর। আর ২য় ডোজ নেওয়ার পরের ৬ মাস পর্যন্ত মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে এ টিকা ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। মডার্নার টিকাও ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকর।

ফেব্রুয়ারিতে ফাইজার ও বায়োএনটেক জানিয়েছিল, তারা ভাইরাসটির নতুন রূপগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতিক্রিয়া আরও ভালোভাবে বুঝতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের একটি তৃতীয় ডোজ পরীক্ষা করছে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৬, ২০২১)