শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরে মাটি ও জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই পরিবেশবান্ধব ও দূষণমুক্ত ব্যবস্থাপনায় অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তৈরি হচ্ছে ইট। এই ইট তৈরিতে জার্মান প্রযুক্তিতে দিনাজপুর শহরের উপকন্ঠে গড়ে উঠেছে গ্রীন বেরী ব্রিক নামে ইট তৈরির কারখানা। দিনাজপুরে মাটি ও জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই পাথর গুড়া ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরী হচ্ছে,এই অত্যাধুনিক কংক্রিট ব্রিক। এই ইট ব্যবহারে অবকাঠামো তৈরিতে নির্মাণ খরচ কমানোর পাশাপাশি অবকাঠামো মজবুত হচ্ছে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।

দিনাজপুর শহরের পশ্চিম উপকন্ঠ পুর্ণভবা নদীর তীে ঘেষে গড়ে উঠেছে, গ্রীণ বেরী কংক্রিট প্রোডাক্ট। জার্মান প্রযুক্তিতে জ্বালানি ও মাটির ব্যবহার ছাড়াই ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সিমেন্ট, ষ্টোন ডাষ্ট,নুড়ি পাথর, ফ্রেশ বালি ও এডমিক্সার। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সারি সারি ভাবে মেশিন থেকে বেড়িয়ে আসছে, পরিবেশবান্ধব ইট।

কংক্রিকেট ইট ছাড়াও তৈরী হয় হলো ব্লক,ইউনি পেভার ও পার্কিং টাইলস। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইটের চেযে টেকসই, শক্তিশালী কংক্রিট ব্রিক। এই প্রতিষ্ঠানে প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ও অসংখ্য শ্রমিকরা কাজ করছে। পরিবেশ দূষণমুক্ত এ কারখানায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হওয়ায় খুশি শ্রমিকরাও।

ভবন, স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবকাঠোমে নির্মাণে কংক্রিট ব্রিক ব্যবহারে সাধারন মানুষের আগ্রহের কথা জানালেন মার্কেটিং বিভাগের কর্মকর্তা সোহেল আল মেহেদী এবং ও প্রকৌশল বিভাগের কর্মকতা দীপু রায়।

সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এ ধরনের উদ্যোগে অনেকে এগিয়ে আসবে বলে মনে করছেন, গ্রীন বেরী ব্রিক ইন্ডাষ্টিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ইসফাকুর রহমান গালিব

এ পদ্ধতিতে ইট তৈরিতে মাটির অপব্যবহার রোধের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন পরিবেশ অদিদপ্তরের স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকতা সিনিয়র কেমিষ্ট এ.কে.এম.ছামিউল আলম কুরসি।

এই কারখানায় প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার কংক্রিটের ব্রিক তৈরী হয়। ৪ বিঘা জমির উপর অবস্থিত এই প্রতিষ্টানে প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান ও শ্রমিকসহ কর্মরত রয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ।

মাটি, আগুন এবং চুল্লি ছাড়াই পরিবেশ বান্ধব এই ইট তৈরি করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই ইটের মাধ্যমে অবকাঠামো তৈরিতে একদিকে যেমন অর্থেও সাশ্রয় হচ্ছে, তেমনি অবকাঠামো মজবুদ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

(এস/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২১)