স্টাফ রিপোর্টার : কর্ণফুলীর খোয়াজনগরে পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে তৈয়ব আলী নামক এক ব্যবসায়ীর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও জেলে পাঠানোসহ বিভিন্ন হুমকি ধমকি দেওয়ারও অভিযোগ তুলেছেন হামলাকারী কথিত সোর্স আব্বাসের বিরুদ্ধে।

গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের তৈয়বের বাড়িতে। এনিয়ে ভুক্তভোগি পরিবারটি থানায় অভিযোগ করলে কর্ণফুলী থানার এএসআই জুপিটার ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলাকারীর দেশীয় অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টা চালান।
পাশাপাশি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার সত্যতা পান।

জানা যায়, পরিবারটি এখন হামলাকারীর ভয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে ব্যবসার খাতিরে একই ইউনিয়নের খোয়াজনগর ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল আজিজ প্রকাশ কালা মিয়ার ছেলে আলী আব্বাস প্রকাশ সোর্স আব্বাসের কাছ থেকে ব্যবসায়ি মো. তৈয়ব ৪ লক্ষ টাকা ধার নেন।

কয়েক মাস আগে থেকে ধার নেয়া টাকা ফেরত চান আব্বাস। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও রাগারাগির ঘটনা হয়। যদিও বাড়ির মালিক ব্যবসার খাতিরে বর্তমানে চট্টগ্রামের বাহিরে থাকেন। এ সুযোগে সোর্স আব্বাসের নেতৃত্বে কয়েকজন মুখোশধারী দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে তৈয়বের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়ির দরজায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলাসহ ব্যাপক ভাঙচুর করে।

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বাড়ির গৃহকত্রী তখন উপায়ন্তর না দেখে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি তল্লাশিসহ পুরো বিষয়টির খোঁজ নেন।

ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গৃহকত্রী জানান, আলী আব্বাস পাওনা টাকা পেলেও প্রতিদিন কিছু না কিছু টাকা তিনি প্রায় সময় নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন বাড়ির মালিক বাহিরে। আমি ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে বাসায় থাকি। বর্তমানে খুব আতঙ্কে রয়েছি। ঘর থেকে বের হলেই ওরা আমার ছেলেদের হামলার শঙ্কায় থাকি।

খোয়াজনগর এলাকার একাধিক লোকজন অসমর্থিত সূত্রে জানান, আলী আব্বাস নিজেকে ডিবির সোর্স পরিচয় দেয়। বিভিন্ন জনকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে সুযোগ সুবিধা আদায় করে থাকেন এবং মাদক সেবনেও জড়িত।

ঘটনার বিষয়ে জানতে আলী আব্বাসকে ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পাবার পর কথা বলতে রাজি হয়নি। পরে কল করেন বলে ফোন লাইন কেটে দেন। তারপরেও ৩০ মিনিট পর কল দিলেও কল রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নি।

এদিকে, কর্ণফুলী থানার অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই জুপিটার বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে রাতে আমরা গেয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। আব্বাস নাকি ৪ লক্ষ টাকা পায় কিন্তু সে টাকা গুলো দিচ্ছে না। মূল ঘটনা জেনে দুপক্ষকে আমরা থানায় ডেকেছি। আশা করি একটা সমাধা হবে।

(জেজে/এসপি/এপ্রিল ১৭, ২০২১)