স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত আড়াই হাজার জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলার অভিযোগ এনে পুলিশ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমন্বয়ক ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে মামলা দুটি করেছে।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ৩০ জন। উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনের মরদেহ নেয়া হয়। তারা হলেন- শুভ (২৩), মো. রাহাত (২৪), আহমদ রেজা (১৯) ও রনি হোসেন (২২)।

গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাবিবুল্লাহ (১৯) নামে আরেক শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এরপর শনিবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠকে বসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সেখানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয় একটি তদন্ত কমিটি। চার সদস্যের ওই তদন্ত কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে পুলিশের একজন, কলকারখানা অধিদফতর থেকে একজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে একজন সদস্য নেয়া হয়। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

বৈঠক শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাঁশখালীতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হবে। নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে তিন লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা করা হবে।’

এছাড়া ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের পক্ষ থেকেও গঠন করা হয়েছে আরেকটি তদন্ত কমিটি।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২১)