শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে কৃষক এখন গম চাষে বেশি ঝুকছেন। দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে গম কাটা,মাড়াই ও ঝাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। 

দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেতই বলে দিচ্ছে,এ অঞ্চলে গম চাষ বেড়েছে। বারি-৩১, বারি-৩২,বারি-৩৩ রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন জাত দ্বারপ্রান্তে পৌছায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে গম কাটা-মাড়াই ও ঝাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কৃষক । উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোর পতিত-অনাবাদি জমিতেও গম চাষ হয়েছে।উদ্ভাবিত গমের এসব জাতের প্রযুক্তিগত চাষাবাদে সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট।

বোচাগঞ্জ বকুলতলার কৃষক মোয়াজ্জেম হোসেন জাণালেন, ধানসহ অন্য ফসলের চেয়ে গম চাষে সেচ কম লাগে তেমনি খরচও কম। তাছাড়া ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী নতুন জাতের গম চাষে তারা শংকামুক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন জানিয়েছেন, তাপ, ক্ষরাসহিষ্ণু

জমি গম আবাদের জন্য উপযোগী। রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাতগুলো চাষীদের গম চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এ বিয়য়ে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তাপসহনশীল ডাব্লুউএমআরআই-ওয়ান এবং ডাব্লুউএমআরআই-টু নামে গমের আরো নতুন দু’টি জাত উদ্ভাবন করেছেন। উদ্ভাবিত নতুন জাত দু’টি কৃষকদের সরবরাহ করা হলে আগামীতে গমের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশে এবার প্রায় পৌনে ৪ লাখ হেক্টর জমিতে গমের চাষাবাদ হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেক চাষাবাদ হয়েছে, উত্তরাঞ্চলে।দেশে গমের উৎপাদন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে কাজ করছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট। এ নিয়ে কৃষকের মাঠ দিবসের আয়োজনও করা হচ্ছে।

নতুন নতুন জাতের বীজ গম উৎপাদন করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে, বাংলাদেশ গম ও ভুট্রা গবেষণা ইনষ্টিটিউট। তাদের এই সাফল্য এখন কৃষকের অনুপ্রেরণা। এই বীজ গম কৃষকের দ্বারপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়লে আগামীতে এ অঞ্চলে গম চাষের পরিধি আরও বেড়ে যাবে এমনটাই মন্তব্য করেছেন,সংশ্লিষ্টরা।

(এস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২১)