রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রোববার ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার বৃহত্তর সাপ্তাহিক নেকমরদ হাট বসিয়েছিল ইজাদার। খবর পেয়ে রবিবার দুপুরের দিকে হাট ভেঙে দিয়েছে প্রশাসন।

যদিও নেকমরদ হাট ইজারাদার মৌমিন বলছেন, তিনি হাট বসাতে চাননি হাটে আসা লোকজনেরাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাটে কেনাবেচা শুরু করেছেন। এ হাটে জেলার বিভিন্ন এলাকারসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ গরু ছাগল ধান গমসহ বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী পাইকারী দরে কেনা বেচা করে থাকেন।

রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই হাটে গরু ছাগল হাস মুরগী ধান গম খোলা কাপড়ের দোকান অস্থায়ী হোটেলে কেনাবেচা শুরু হয়। গুরু থেকে শুরু করে কাচাবাজারসহ অন্যান্য বাজারে যথারীতি মানুষের উপচে পড়া ভিড় সৃষ্ঠি হয়। এ সময় দুরত্ব বজায় রেখে চলার কোন বালাই লক্ষো করা যায় নি। তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষের মুখে ছিলো না মাস্ক।

হাটে দেখা যায়, শরীরে শরীর ঘেঁষে মানুষ চলাফেরা করছে,অস্থায়ী হোটেলগুলোতে মানুষ জটলা বেধে চা পান পরেটা খাচ্ছে। খোলা কাপড়ে দোকানে মানুষ স্বাদছন্দে কেনাকাটা করছে। এদিকে প্রশাসন ও সংবাদকর্মিদের নিকট হাট বসানোর কথা অস্বীকার করলেও ইজারাদার ঠিকই হাটের প্রবশেপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছে এবং টোল আদায়ের জন্য রশিদ বই দিয়ে তাদের লোকজনকে হাটে সেট করেছে। হাট বসানোর খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) প্রীতম সাহা দুপুরের দিকে গিয়ে হাট ভেঙে দেয়। এবং পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাট বসালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ইজারাদারকে সাবধান করেন।

উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইম বলেন, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে হাট ভেঙে দিয়েছি। পরবর্তিতে হাট আবারো বসালে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(কেএস/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২১)