দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

সোমবার দুপুরে ঐ গৃহবধুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূ ঐ এলাকার প্রতাপ হালদারের স্ত্রী সুজাতা রায়।

গৃহবধূর পুত্র বাধন হালদার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের বাড়িতে থাকা সিমেন্টের খুঁটি নিতে আসে পাশ্ববর্তী ভাড়াটিয়া পরোশ মালোর দুই ছেলে প্রশোন মালো ও দীপ্ত মালোসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন।

এ সময় আমার মা তাদের কাছে ৫ হাজার টাকা পায় বলে জানায়। টাকা না দিলে খুটি নেওয়া যাবে না বলে আমার মা তাদের জানায়। কিন্তু তারা বলে কিসের টাকা পাও? একথা বলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার মা’কে ধাক্কা দিয়ে গাছের উপর ফেলে দেয়। এ সময় আমার মা অজ্ঞান হয়ে যায়। ঐ সময় তারা বাড়ির ভেতর থাকা খুটিগুলো নিয়ে যায় এবং আমি বাঁধা দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ভয়ে আমি তাদের বাঁধা না দিয়ে ঘরের ভেতর পালিয়ে থাকি। ওরা যাওয়ার পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

এ সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ওরা খুটি নিতে আসলে বাঁধনের মা আকছা (বাঁধা) দেয়। এ সময় বাধনের মাকে দীপ্ত মালো নামে ছেলেটি সজোড়ে ধাক্কা দিয়ে গাছের উপর ফেলে দেয়। তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। দীপ্তর মা হার্টের ও প্রেশারের রোগী হওয়ায় গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে আহত গৃহবধুর স্বামী মুঠোফোনে জানান, আমি ব্যবসার সুবাধে ঢাকায় থাকি। ঘটনা শুনেই আমি বাড়িতে রওয়ানা হয়েছি, লকডাউনের কারনে আসতে দেরি হচ্ছে। এসেই থানায় মামলা করবো।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রশোন মালো ও দীপ্ত মালোর বাড়িতে জানতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি। তবে তাদের মা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গেলে তাদের বোন বাঁধা দেয় এবং ঘরে দড়জা আটকে দেয়। তবে, বিষয়টি জানতে দীপ্তর মুঠোফোনে ফোন দিলে তার বোন কলটি রিসিভ করে বলে, “সরি ভাই” বলেই লাইন কেটে দেন।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২১)