বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ঠ্যাঙ্গামারায় অবস্থিত টিএমএসএস মম ইন বিনোদন জগতের "কানন বালা" ঘাট সংলগ্ন করতোয়া নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে বালু উত্তোলনের চারটি বোমা মেশিন ও পাঁচটি পাম্পসহ চার ইঞ্চি ব্যাসার্ধের প্রতিটি দশ ফুট দৈর্ঘ্যের কমপক্ষে বিশটি পাইপ জব্দ করেন ভ্রাম্যমান আদালত। তবে ঘটনাস্থল হতে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে করতোয়া নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সংবাদে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজন এবং ফেরদৌস আরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভ্রাম্যমান আদালতের কাজে সহযোগিতা করেন বগুড়া এপিবিএন-এর পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

জানা যায়, বালু ও পাথর উত্তোলনে উচ্চ আদালত থেকে নিষিদ্ধ যন্ত্র ‘বোমা মেশিন’ কৌশলে নৌকায় স্থাপন করে ব্যবহৃত হচ্ছিল কানন বালা ঘাট সংলগ্ন নদীতে ভাসমান নৌকায়। ঘটনাস্থলে দেখা যায়, নদীর বেশ ভিতরে ২ টি নৌকার পাটাতনে বসানো হয়েছে ২ টি বোমা মেশিন। নৌকায় ভাসমান উক্ত মেশিনের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘ পাইপ। নদীর তলদেশ হতে বালু উত্তোলনের পর ভাসমান পাইপের মাধ্যমে বালু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল টিএমএসএস মম ইন বিনোদন জগতের কানন বালা ঘাট সংলগ্ন নিচু স্থান ভরাটের কাজে। এছাড়াও কানন বালা ঘাট সংলগ্ন স্থানেও বোমা মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের পর একই জায়গা ভরাট করা হচ্ছিল।

উল্লেখ্য যে, বোমা মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে করতোয়া নদী সংলগ্ন অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাস্তুসংস্থানেও। ক্রমবর্ধমান এই বালু উত্তোলন প্রক্রিয়া বাড়াচ্ছে ভূমিকম্প ও অতিবৃষ্টিতে ভুমিধসের আশংকা। ইতিমধ্যে নদীর পাড় ও সংলগ্ন জমির মাটি ধ্বস লক্ষণীয়। পাশাপাশি কমছে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ও উর্বরতা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বালু উত্তোলনের সব মেশিন টিএমএসএসের এবং এ কাজ তারা দীর্ঘদিন যাবৎ করছেন।

নদী রক্ষার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের নিয়মিত জোরালো ভূমিকার দাবী জানান সচেতন এলাকাবাসী। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে টিএমএসএসের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি।

(আর/এসপি/এপ্রিল ১৯, ২০২১)