এমএ হীরা, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) : রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই উন্নয়নের জোয়ার বইছে এই ইউনিয়ন পরিষদে।এই ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেকটি জনগণ বলছে আমজাদ হোসেন একজন মানবিক চেয়ারম্যান। 

২৭৪৯০ জন জনসংখ্যা নিয়ে গঠিত ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদ,৯ টি ওয়ার্ড ১২ জন মেম্বার সংরক্ষিত মহিলা আসন সহ ও ১ জন চেয়ারম্যান দ্বারা পরিচালিত হয় ইউনিয়ন পরিষদ। পরপর ২বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমজাদ হোসেন, তার সময়ে সাধিত হয়েছে ছোটভাকলা ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড।

সম্প্রতি ভিজিডি কার্ড নিয়ে ১৭/৪/২০২১ তারিখে বিভিন্ন জাতীয় ও গণমাধ্যমে ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে যে নিউজ প্রচার করা হয় তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন বানোয়াট, উদ্দেশ্য মূলক বলে দাবি করেন আমজাদ হোসেন চেয়ারম্যান ও তার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পরিমল ও মেম্বারগন ।

মানবিক চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত আমজাদ হোসেন বলেন ভিজিডি কার্ড নিয়ে কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি, সরকারের অনলাইনে ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ৭৮৫ জন ভিজিডি কার্ড গ্রহণ করার জন্য আবেদন করেছিল, সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে ৩৮২ জনকে সিলেক্ট করা হয়। যাচাই-বাছাই করার সময় উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে এই তালিকা চূড়ান্ত করেন ।

তিনি আরো বলেন সম্প্রতি আপনারা জেনেছেন ইউপি নির্বাচন খুব কাছাকাছি তাই আমরা মনে করছি কোনো প্রতিপক্ষ সাংবাদিকদের দিয়ে এই অপ সংবাদটি প্রচার করতে হয়তো সহযোগিতা করেছেন।এই অপ সংবাদ এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। চূড়ান্ত তালিকায় যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গের নাম রয়েছে তাদের মাঝেই ভিজিডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ।

এই ছোট ভাকলা ইউনিয়ন বাসীর মাঝে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকি এই ইউনিয়ন বাসী আমাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাসে তাদের কাছে আমি ঋণী।

ভিজিডি কার্ড নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সালাম সিদ্দিকী বলেন, ভিজিডি কার্ড নিয়ে অনিয়মের কোন তথ্য আমার জানা নাই, তবে যাদের লিস্ট চূড়ান্ত করা হয়েছে তাদের মাঝেই ভিজিডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এলোমেলোভাবে যদি কেউ কোনো বক্তব্য দেয় তা গ্রহণযোগ্য নয়।

ভিজিডি কার্ড নিয়ে কোন প্রকার অনিয়ম হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমার কাছে ১৫ টি ভিজিডি কার্ডের অভিযোগ এসেছিল, আমি চেয়ারম্যানের কাছে জবাব চেয়েছি। পরবর্তীতে জানা গেছে ভুক্তভোগীরা কার্ড পেয়েছে হয়তো।

ফাতিমা ও হাসিনা যে দুজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে সেই দুই ব্যক্তি জানান আমদের ভিজিডি কার্ডে কোন অনিয়ম হয় নি, আমরা আমাদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছি।

ইউপি সচিব পরিমল কুমার দাস বলেন আমি বিগত দিনে যে কয়টি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করেছি তার থেকে ছোটভাকলা ইউনিয়ন পরিষদ অনেক ভালো। এবং এই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন অনেক ভালো মনের মানুষ।

মহিলা মেম্বার মমতাজ বেগম ও পুরুষ মেম্বার আব্দুস সালাম নিলু মেম্বার বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান অনেক বড় মনের মানুষ। তিনি তার জনগণকে সবসময় দিয়ে থাকেন। তার ব্যক্তিগত ভাবে অনেক সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।তিনি ইউনিয়ন বাসীর মাঝে একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিত।

(এইচ/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২১)