স্টাফ রিপোর্টার : সাড়ে ৪ শতাধিক সুফলভোগী। খাল খননে অর্ধকোটি টাকা বরাদ্দ হলেও খাল খনন হয়েছে নাকি নালা কেটে পরিস্কার করা হয়েছে এ প্রশ্ন সয়ং সুফলভোগীদের। তারা শুধু স্বাক্ষর করেছেন, কি লেখা আছে তাও জানে না। তবে কাজে ত্রুটির কথা স্বীকার করলেও নেই কোন পদক্ষেপ তদারকি কর্তৃপক্ষের। এ ভাবেই খাল খনন করে বিল উত্তোলন করেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া-ভররামদিয়া খাল।

জানা গেছে, উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া-ভররামদিয়া খাল উপ-প্রকল্পের (চেইঃ ০০-২৪০০)(০০-৯৭৫ শাখা)। পানি নিষ্কাশন ও সংরক্ষণ উপ-প্রকল্পের এস,পি নং-৭২০২৬। উপ-প্রকল্প এলাকার পরিমান ৯০০ হেক্টর। তেঁতুলিয়া-ভররামদিয়া পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড (রেজি : নং- রাজ-১৭, তাং-৯-৩-২০)। উপকারভোগীর খানা ৪৫০, বাস্তবায়ন সহযোগি- জাইকা/জব ও বাস্তবায়নে এলজিইডি এবং চুক্তিমুল্যে ৫২,৮০৯৮৭ টাকা।

মঙ্গলবার সরেজমিন খাল খননকৃত এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, কোন মতে খালের দুপাশের ঘাস কেটে পরিস্কার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে খালের কোন জায়গা নেই। মনে হচ্ছিল খাল নয় কোন মতো কেটে নালা তৈরী করেছেন।

ওই এলাকার কয়েকজন সুবিধাভোগীর সাথে কথা বললে নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, আসলে খালটি খনন না করলেও সমস্যা হতো না। ভেকু দিয়ে কোন মতে ঘাস কেটে পরিস্কার করা হয়েছে। আমরা সুফলভোগী হলেও আমাদের কাছ থেকে শুধু স্বাক্ষর নিয়েছেন। আবার অনেকেই বলেন, শুনেছি সুফলভোগী হিসেবে নাম রয়েছে। তবে আমাদের কাছ থেকে কোন স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।

তেঁতুলিয়া, ভররামদিয়া, নতুনচরসহ আশপাশের এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এলাকার কয়েকজন প্রভাবশালী খাল খননের নামে তদারকি কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে লুটপাটের মাধ্যমে পুরো টাকাই পকেটস্থ করেছে। দেখলে কেউ খাল খনন বলবে না এটিকে বলবে নালা খনন। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি তদন্ত পুর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, আমরা সরেজমিনে গিয়ে দেখার পর বিল হবে। কাজ না করে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। খাল নয় নালা খনন করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেখানে যেমন মাটি কাটার কথা সেখানে সেভাবেই কাটবে। তবে কিছু স্থানে খনন কম হয়েছে, সেখানে খনন করা হবে।

(একে/এসপি/এপ্রিল ২০, ২০২১)