দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : বাড়ছে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সাধারণ ছুটি, দিন যত যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি ততো ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে, হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রিয় মুখ । এ পরিস্থিতিতে সরকার বাড়াচ্ছে লকডাউনের মেয়াদ, দোকান পাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তার কারণে চলছে না রিকশা ও অটোরিকসা সহ সাধারণ যানবাহন, মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। যে কারণে চরম বিপাকে পরছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।

একদিকে করোনার ভয় অন্য দিকে কর্মহীন থাকার কারনে না খেয়ে থাকার ভয়ে সংকিত সাধারণ নিন্ম আয়ের মানুষ।
করোনার প্রথম বছরে এতোটা হতাশায় ভোগেননি, তখন তাদের হাতে যেটুকু জমানো টাকা ছিল তা দিয়ে চলেছে। এছাড়াও সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহায়তা প্রদান করেছে, এ কারণে ততোটা বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বারাচ্ছে না সহায়তার হাত, সরকার যা দিচ্ছে তা নিত্যান্তই সামান্য তাও কেউ পাচ্ছে কেউ পাচ্ছে না।

এদিকে মধ্যে বিত্তদের ভোগান্তি আরও চরমে ওঠেছে, কারন তারা না পারছে চাইতে না পারছে কিছু করতে। এরা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোক, কেউ বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক, শিল্পী, ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী, গণমাধ্যম কর্মী সহ অনেকেই আছে যাদের ঘরে খাবার নেই, গচ্ছিত টাকাও নেই যেটুকু ছিল তাও ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে, অন্যদিকে রমজান মাসের কারণে দ্রব্য মূল্য দিন দিন বেরেই চলেছে। আর একারনেই দিন দিন বাড়চ্ছে তাদের বোবা কান্না।

লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমানো গেলেও গরিব ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোন খাদ্য সহায়তা। এখন করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির চেয়ে ও খাদ্য কষ্টের চিন্তা অনেক বেশী।

করোনা ঝুঁকি এরাতে সরকার যেমন কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে সর্বাত্মক নিরাপত্তার চেষ্টা করছেন, তেমনি খেটে খাওয়া নিন্মআয়ের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার কথাও সরকারের একটু ভাবা উচিত।

এ দেশে অনেক সচ্ছল ও বিত্তবানদের সরকারের পাশাপাশি দেশের এই কঠিন দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে এসে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়া।

তাইতো আজ স্বনামধন্য কন্ঠ শিল্পী ভূপেন হাজারিকার গানটি মনে পরে যায়,

মানুষ মানুষেরই জন্যে
জীবন জীবনেরই জন্যে
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না।

(ডিসি/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২১)