আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০ জন রোগী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা গ্রহন করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে দিন দিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। 

উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন। এ ছাড়াও আউডডোরে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গত এক সপ্তাহে উপজেলার উত্তর বাউরগাতি গ্রামের শাজাহান মোল্লার স্ত্রী আকতারুন নেছা (৫৫), পূর্ব সুজনকাঠি গ্রামের নাছির আকনের তিন বছরের ছেলে আমান উল্লাহ, রাংতা গ্রামের এনায়েত বেপারীর ৮মাসের মেয়ে আছিয়া, কালুপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ১০মাসের মেয়ে তাহিরা, চাঁদত্রিশিরা গ্রামের কামাল সরদারের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫), বেলুহার গ্রামের মনির হোসেনের এক বছরের ছেলে ইয়াসিন, সেরাল গ্রামের মুমিন মীরের ১০মাসের মেয়ে আয়শা সিদ্দিকা, বড় বাশাইল গ্রামের রবিউল ইসলামের ৭মাসের ছেলে রিফাত, সাতলা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ১৪ মাসের ছেলে আয়ান বিশ্বাস, খাজুরিয়া গ্রামের মহিদুল ইসলামের ১মাসের ছেলে আব্দুল্লাহ, খাজুরিয়া গ্রামের টিটু মোল্লার ২মাসের ছেলে রাইয়ান, কুড়ালিয়া গ্রামের বিশ্বনাথ বাড়ৈর ১৯ মাসের ছেলে প্রনব বাড়ৈ, ধামুরা গ্রামের রাজু হোসেনের ১১ মাসের মেয়ে আয়শা, রাজাপুর গ্রামের পবিত্র তালুকদারের ৯মাসের ছেলে প্রিজুস, উত্তর শিহিপাশা গ্রামের হাসমত আলীর স্ত্রী মমতাজ বেগম (৬৫), ধামুরা গ্রামের মিজানুর রহমানের ২ বছরের মেয়ে মরিয়ম, কান্দিরপাড় গ্রামের অর্জুণ মন্ডলের ৫বছরের মেয়ে অনু মন্ডল, নাঠৈ গ্রামের মনজুর হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৫৯), ফুল্লশ্রী গ্রামের ইলিয়াস ফকিরের ৪ বছরের মেয়ে ময়নাসহ ২০জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও আউডডোরে ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন প্রতিদিন।

এ ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর এ সময়টাতে আলাদা প্রস্তুতি থাকে স্বাস্থ্য বিভাগের। তবে বর্তমান সময়ে বিগত দিনের থেকে আক্রান্তের সংখ্যাটা একটু বেশিই। চলতি মাসের শুরু থেকে করোনার পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ থেকে রেহাই পেতে হলে সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি খাবার দাবারে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

বিশেষ করে সবাইকে নিরাপদ খাবার গ্রহণ ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। উপজেলা হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য সব ধরনের ঔষধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ রয়েছে। যার কারনে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তির সাথে সাথেই সব ধরনের ঔষধ পাচ্ছেন।

আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২১)