শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : “বাবারে,কী কহিমু আর, অল্প এ্যানা ঝড় বৃষ্টিতে রাতে শোয়া থেকে উঠে বসিয়া, আল্লাহ আল্লাহ করি। মনে হয়, সমস্তবাড়ী কাঁপি উঠছে। কখন যে কি হয়, আল্লাহ জানে ! কয়েক দিন পূর্বে সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে বাড়ীর টিন উড়ে গেল। খুলে পড়ল গাথুনির ইট। ফাঁটল ধরল বারান্দার খুটিতে। এই সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে যদি এমন অবস্থা হয় বাবা, তাহলে বড় ঝড় বৃষ্টিতে কি এখানে থাকা যাইবে।”

এভাবেই কথাগুলো বলছিলো, দিনাজপুরের নবাবগজ্ঞ উপজেলার শালখুরিয়া ইউনিয়নের বেড়ামালিয়া গ্রাামে আশ্রয়নের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে পাওয়া বাড়ীতে বাসবাস করা মেহের বানু জহুরা বেগম, জোসনা বেগম, বিলকিস বেগম, মালেকা বেগম সহ অন্যরা। ওই এলাকায় গেলে তারা এ প্রতিনিধিকে তাদের ঘরের ক্ষতি হওয়া জায়গা গুলো দেখান আর এইসব বলতে থাকেন।

তারা জানান, ক্ষতি হওয়ার সংবাদ পেয়ে সরকারী ভাবে উড়ে যাওয়া ঘরের টিনগুলো ঠিক করে দেয়া হয়েছে। টিন যেন আর উড়ে না যায় সেজন্য ঘরের দেয়ালে যেন তেন ভাবে পেরেক সাটিয়ে চিকন জি আই তার দ্বারা বেঁধে দেয়া হয়েছে। বসবাস কারীগণ বাড়ীগুলোকে নিরাপদ মনে করছেন না এবং তারা শংকিত কখন যে কি হয় তা নিয়ে।

এ ছাড়াও প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত তাদের পানির কোন ব্যবস্থা করা হয় নাই বলে তারা জানান। তারা এই পবিত্র রমজান মাসে পানির জন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বিষয়টির প্রতি তারা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

অপর দিকে শালখুরিয়া গ্রামে যে ঘরগুলো তৈরী করা হয়েছে, সেখানেও একই অবস্থা দেখা গেছে। সেখানে যারা ঘর পেয়েছেন তারা কেউ কেউ মালামাল রেখে গেলেও বাস করছেন না বলে স্থানীয় প্রতিবেশিরা জানান। সেখানেও কোন পানির ব্যবস্থা নাই। ঝড়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে থাকতে ভয় করছেন বসবাসকারী লোকজন। এ কারনেই বাডি ছেড়ে অন্য জায়গায় রাত কাটানো।

এ বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা বক্তব্য দিতে নারাজ।

(এস/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২১)