নওগাঁ প্রতিনিধি : বুধার বিকেলে নওগাঁর নিয়ামতপুরে বোরো ধান কাটাকে কেন্দ্র করে তীর ধনুক নিয়ে আদিবাসী  দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ২ নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময় গুরুতর আহত ৪ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের মাসনা ধানের ক্ষেতে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়ন বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের মৃত তারণ সরদারের আরএস রেকর্ডভুক্ত ৩ একর ৫৬ শতক জমি মৃত মসি সরদারের ছেলে বুধু সরদার, তারানু সরদার, বিধানের ছেলে খোকা টপ্প, মৃত তারণ সরদারের ছেলে বিধান সরদার বোরো ধান রোপন করেন।

বুধবার বিকেল ৩টায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা বোরো ধান কাটতে গেলে মাসনা গ্রামের বনমালি তার ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে হাসুয়া, তীর ধনুকসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করলে বান্দইল বিচিবাড়ী গ্রামের মসি সরদারের ছেলে বুধু (৬০), তারানু (৬৫), মন্টুর স্ত্রী বুঝমনি (৫০), মৃত খগনার ছেলে সারিতন (৩৫) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার হরিসপুর দেওপুরা গ্রামের মজিদের ছেলে বিজয় (১৫), পোরশা উপজেলার নোনাহার গ্রামের সিনাইয়ের মেয়ে কবিতা (১৯), এবং আক্রমনকারীদের মাসনা গ্রামের মহাদেবের ছেলে অতিস কুজুর (৫০), দেবেন্দ্রর ছেলে রিপন (৩০), প্রশান্ত (৩৫) আহত হয়। আহতদের প্রথমে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধু (৬০) মারা যান।

বাঁকী আহতদের মধ্যে গুরুতর হওয়ায় সারিতন এর হাতে তীর ধনুক বিদ্ধ অবস্থায় এবং কবিতা, এবং তারানুকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার আহমেদ জানান, প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আগেই বিজয়, সারিতন এবং কবিতাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধু এবং তারানুকেও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রস্তুতি চলছিল। এমতাবস্থায় বুধু মারা যায়।

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(বিএস/এসপি/এপ্রিল ২১, ২০২১)