অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা সদর সন্নিহিত বিষখালী নদী পার হলেই বরগুনা সদর উপজেলা। জেলা-উপজেলার সংযোগ সড়কের দুই ধারে বেশকিছু তরমুজ চাষির ক্ষেত চোখে পরছে গত দুবছর ধরে। 

এখানকার ১০ নং নলটোনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের আজগরকাঠী গ্রামের তাদের-ই একজন বেকার যুবক মহারাজ মিয়া। যিনি তরমুজ চাষকরে বেকারত্বের শৃংখল ভেঙে সাবলম্বীদের কাতারে চলে এসেছেন। মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ করে ৩ মাসে আয় করেছেন ৬ লক্ষাধিক টাকা। ৩দিন আগে পাইকারদের কাছে তার তরমুজ ক্ষেতটি ৮লক্ষ ১০হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন । তাঁর এই কৃতিত্ব ছড়িয়ে পরেছে সোস্যাল মিডিয়ায়। সোস্যাল মিডিয়ায় এক্টিভিস্ট ফোরকান গাজী বলেন "দেশের শিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব থাকতে পারে,তবে অশিক্ষিত লোকের চাকরির অভাব নেই।"

পাথরঘাটা-ঢাকা সড়কপথের হাতেমপুর কোল্ড ষ্টোরেজ সংলগ্ন মাঠে দু'বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছে স্থানীয় একদল কৃষক। এবারে বৃষ্টি না থাকায় ফসল কিছুটা কম আসলেও গত বছর ফলন হয়েছে আশাতীত।

বরগুনা সদর উপজেলার আাজগর কাঠি গ্রামের মহারাজ তরমুজ চাষীদের জন্য একটি উদাহরণ মাত্র। বছরের পর বছর মাত্র একবার আমন চাষাবাদ হত এই জমি গুলোতে।সারাবছর পতিত থাকত এইসকল জমি। আর সেই সকল পতিত জমিতে তরমুজ চাষ করে মহারাজ যে নজির স্থাপন করলেন, তা যুবকদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়েছে বলেও জানান এলাকাবাসী।

ফোরকান গাজী আরও বলেন,আমাদের শিক্ষিত যুবকরা ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি খুঁজেন। আর অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মহারাজরা ৩ মাসে ৮ লক্ষ টাকা কামাই করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের গালে একখান কষে চড় মারলেন। আশা করি এ ঘটনাটি দেখে শিক্ষিত বেকার যুবকদের বোধদয় ঘটবে।

(এটি/এসপি/এপ্রিল ২২, ২০২১)