জসিম উদ্দিন জুয়েল, টঙ্গী (গাজীপুর) : টঙ্গীতে প্রেমের টানে পালিয়ে সংসার জীবন শুরুর এক মাসের মধ্যেই মৃত্যু হলো সুমাইয়া আক্তার সুমির।

নিহত সুমাইয়া (১৬) নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা থানার নারায়নদাহ গ্রামের মোঃ লাল মিয়া (৫০) এর মেয়ে। মৃত সুমাইয়া ঘরের সিলিংয়ের সাথে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। গত ২২শে এপ্রিল মায়মনসিংহ জেলার ধোবাউরা থানার বল্লভপুর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ ইয়াছিন তার স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত টঙ্গীর গুসুলিয়ায় ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

সুমাইয়ার পিতা বর্তমানে গাজীপুর মহানগরের গাছা থানাধীন ডেগের চালা সেলিম মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তিনি অভিযোগ করেন, মোঃ ইয়াছিন (২১) গাছা থানাধীন ইউনুস আলঅর বাসায় ভাড়া থাকতো। একই এলাকায় থাকার কারনে ৫/৬ মাসপূর্ব হতেসপ্তম শ্রেনির ছাত্রী আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে ইয়াছিন প্রেম নিবেদন করে এবং আজ থেকে ২০ দিন পূর্বে আমার মেয়েকে আমাদের অমতে বিয়ে করে টঙ্গীর ৫৩ নং ওয়য়ার্ডের মুদাফার জনৈক সালাউদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছিলো। সে পার্শ্ববর্তী খোকনের ফয়সাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়য়ার্কশপে কাজ করতো।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, অপ্ল বয়সে বিয়ে হবার কারনে তাদের মধ্যে বোঝাপরার ঘাটতি দেখা দেয়। বিয়ের পর হতেই ইয়াছিন আমার মেয়েকে শাররীক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতো যা আমার মেয়ে আমাকে ফোনে জানাতো। আমি এ ব্যাপারে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার স্বামীকে কিছুদিন পূর্বে বুঝিয়েও আসি।

টঙ্গী পশ্চিম থানার এসআই উত্তম কুমার সুত্রধর জানান, ইয়াছিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বিজ্ঞ আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে শহীদ তাজ উদ্দিন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং মৃতের বাবা বাদী হয়ে ধারা ৩০৬ পেনেল কোডে মামলা করেন যার নম্বর- ১৬।

(জে/এসপি/এপ্রিল ২৩, ২০২১)