স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গৃহবধু আজমিনা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় মামলার পর বাদীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

উল্ল্যেখ যে, গত ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক শাহনূরের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আজমিনা আক্তার নিজ বাড়িতে ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের শিকার হন।

এ ঘটনার পরদিন বুধবার সন্ধায় নিহত আজমিনার পিতা উপজেলার ঘাগটিয়া কাইকর পাড়ার কৃষি শ্রমিক আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পরদিন বৃহস্পতিবার ছায়া তদন্তে নেমে র‌্যাব -৯ সিলেট , সিপিসি ৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের গোয়েন্দা টিম ওই গৃহবধুকে শাশুড়ির সহযোগতীয় পরকীয়া সম্পর্ক তৈরী ,ধর্ষণ হত্যাকান্ডের প্রমাণ সাপেক্ষ তিন জনকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃত উপজেলার জামবাগ জৈতাপুর গ্রামের মৃত নাজির হোসেনের ছেলে প্রধান আসামী গোলাপ মিয়া, তার সহযোগী একই গ্রামের একরাম মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া, আমিরুল ইসলামের স্ত্রী নিহত আজমিনার শাশুড়ি হেলেনা বেগমকে শুক্রবার সন্ধায় থানায় সোপর্দ করে র‌্যাব।

শনিবার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত সুনামগঞ্জ(তাহিরপুর জোন) বিজ্ঞ বিচারক হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে প্রধান আসামি গোলাপ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর আদালত গোলাপ ও তার সহযোগী সোহাগকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।

অপরদিকে শনিবার নিহতের শাশুড়ি হেলেনা বেগম মুছলেখা রেখে অদৃশ্য কারনে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।,
হত্যা মামলার দুই আসামি কারাগারে থাকা অবস্থায় মামলা দায়েরের ৫দিনের মাথায় গত ২৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ঘাগটিয়ার কাইকর পাড়ায় বাদীর বাড়িতে কয়েকজন দৃবৃক্ত এসে বাদীর বসত ঘরের টিন কেটে মোটরসাইকেল যোগে দ্রুত দুবৃক্তরা পালিয়ে যায়।

মঙ্গলবার রাতে নিহত গৃহবধুর পিতা কৃষি শ্রমিক আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মেয়ে ধর্ষণ ও হত্যকান্ডের পেছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে মুখ না খুলতে অদৃশ্য শক্তির ইশরায় কারাগারে থাকা আসামী পক্ষের লোকজন এবং হত্যকান্ডে জড়িত রয়েছে এমন কোন কোন দুবৃক্তরা কিংবা ঘটনা ধামাচাপা দিতে মদদ দিচ্ছেন যারা এরাই মুলত মামলা তুলে নিতে আমার বাড়িতে হুমকি সরুপ ওই রাতে হামলার ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমার ধারণা।।

(এইচ/এসপি/এপ্রিল ২৭, ২০২১)