সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : কয়দিন আগে ছুটিতে এসেছিলেন আলমগীর। বুধবার সকালে বাড়ির আঙ্গীনাতেই ছোট ভাইকে নিয়ে ধান গাছের খের (গো খাদ্য) স্তুপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার দিকে আকষ্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর রক্ষা পেলেও প্রাণে বাঁচেননি বিজিবি সদস্য আলমগীর হোসেন। এ মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের বাড়লা গ্রামে।

আলমগীর হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার জানান, কয়েক দিন আগে ছুটিতে আসেন আলমগীর। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার ২৩ বিজিবিতে কর্মরত ছিলেন। বাড়লা গ্রামের ইছহাক মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন এক সন্তানের জনক। সকালে তার ছোট ভাইকে নিয়ে বাড়ির আঙ্গীনাতে ধান গাছের খের (গো খাদ্য) স্তুপ দিচ্ছিলেন। হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকালে বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। আশংকাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। হাসপাতাল থেকে লাশ বাড়িতে আনা হলে স্ত্রী পুত্র ও স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।

পাইকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২, ৩ সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য সালেহা আক্তার জানান, বজ্রপাতে আহত হয়ে মারা গেছেন আলমগীর হোসেন। তার মৃত্যুর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। মৃত্যুর বিষয়টি বিজিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আসার পর তার নামাজে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হবে।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২১)