ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : লকডাউনের মধ্যেই সরকার গত রবিবার থেকে দোকানপাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিয়েছে। সরকার ঘোষিত লকডাউনের তৃতীয় সপ্তাহ চলছে। করোনার উর্ধ্বমূখী সংক্রমণ ও মৃত্যু রোধে লকডাউন চলাকালে ক্রেতা ও বিক্রেতার মূখে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটছে ঈশ্বরদী বাজারে। বাজারে ক্রেতার মূখে মাস্ক দেখা গেলেও অনেক বিক্রেতার মূখে মাস্ক নেই।

বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পড়ার বিষয়ে ঈশ্বরদীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বুধবার থেকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে মাস্ক পরিধানে সচেতনতা বেড়েছে। কিন্তু বাজারের অনেক বিক্রেতার মূখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না।

সরেজমিনে বুধবার ঈশ্বরদী বাজারে বেশীরভাগ সাধারণ ক্রেতার মুখেই মাস্ক দেখা গেছে। তবে বাজারের বিক্রেতাদের অনেকের মূখেই মাস্ক দেখা যায়নি। অথচ ব্যবসায়ীরাই লকডাউনে দোকানপাট খোলার ব্যাপারে বেশী সোচ্চার ছিলেন। ঢাকায় আন্দোলন করে ভাংচুর পর্যন্ত করতে দেখা গেছে।

বুধবার (২৮এপ্রিল) ঈশ্বরদী বাজারে সকালের অস্থায়ী সবজি মার্কেট, রেলওয়ে সুপার মার্কেট, মনির প্লাজা, জাকের প্লাজা, পৌর মার্কেট ও মুদিদোকান গুলোতে সরেজমিনে বিপুল সংখ্যক ক্রেতার উপস্থিতি দেখা যায় । অধিকাংশ ক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও সে তুলনায় বিক্রেতাদের মুখে মাঙ্কের সংখ্যা খুবই কম।

বিক্রেতাদের মধ্যে বয়স্ক, যাদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাদেরও মাঙ্ক পরিধানে অনীহা । কারও কারও মুখে মাস্ক থাকলেও তা থুথমির নিচে গলার কাছে ঝুলিয়ে রাখা ।

কাঁচাবাজার করতে শেরশাহ রোড় এলাকার আকমল বলেন, কাঁচাবাজার করতে এসে বিক্রেতাদের অধিকাংশকেরই মাস্ক পড়তে করতে দেখলাম না। তাদের মধ্যে ভ্যামকেয়ার ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

পৌর মার্কেটের সামনের অস্থায়ী সবজি বিক্রেতা আব্দুল মান্নানের কাছে মাস্ক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যা গরম পড়ছে, ঘামে মাস্ক ভিজে গেছে। তাই খুলে রেখেছি।

এব্যাপারে ঈশ্বরদী শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ব্যবসায়ীরা সকলেই মাস্ক ব্যবহার করছেন। প্রচন্ড গরমের কারণে হয়তো কিছু সময় খুলে রাখেন। ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা এবং মাস্ক বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহারের জন্য বণিক সমিতির পক্ষ হতে বার বার মাইকিং করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে ঈশ্বরদীর পুলিশ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে শহরের বেশ কিছু স্থানে অভিযান চালিয়ে শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করে। পরে মাস্ক পরিধানে আর কখনও ভুল হবে না এই প্রতিশ্রুতি নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হযেছে। পুলিশী অভিযান অব্যাহত থাকলে মাস্ক না পড়ার কারণে ব্যবসায়ীদের সম্মানহানি হওয়ার আশংকা রয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০২১)