নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ জেলার সাপাহারে প্রচন্ড খরায় গাছ থেকে আম ঝড়ে পড়ছে। এমনটা দেখে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন উপজেলার আম চাষীরা। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে দেশে এখন বিরাজ করছে দীর্ঘ ও প্রচন্ড খরা। খরায় চারিদিক যেন খাঁখাঁ করছে। মাঠ ঘাট নদী-নালা ইতোমধ্যেই শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। এমনি অবস্থায় নওগাঁ জেলার আমচাষীগন নিজ নিজ বাগানে গাছ থেকে আম ঝরে পড়তে দেখে দারুন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

নওগাঁ জেলা ও উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী সাপাহার উপজেলার এবছর প্রায় ৮হাজার ২৫০হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। সে মতে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁ জেলায় আমের বিপ্লব ঘটবে বলে কৃষি বিভাগ ও আমচাষীগন মনে করছেন।

তবে আমের বাড়ন্ত সময়ে অতিরিক্ত খরা যেন বাধ সেধে বসেছে। প্রচন্ড খরায় আমের বেড়ে ওঠা অনেকটাই থেমে গেছে। সেই সঙ্গে মাটিতে কোন প্রকার রস না থাকায় গাছ থেকে নির্বিচারে ঝরে পড়ছে আম। কৃষি দপ্তরের দেয়া উপদেশ মতে, অনেকেই খরা থেকে আমকে বাঁচাতে গাছে শুধু পানি স্প্রে করছে। বরেন্দ্র এ অঞ্চলে তেমন কোন সেচ সুবিধা না থাকায় অধিকাংশ বাগান মালিকরা তাদের বাগানে সেচ দিতে পারছেন। কৃষি বিভাগ ও বাগানীদের মতে চলতি খরা আরোও কয়েক সপ্তাহ বিরাজ করলে প্রতিটি বাগানের প্রায় ৮০ শতাংশ আম ঝরে পড়বে।

সাপাহার উপজেলার জয়পুর গ্রামের আমচাষী সাংবাদিক তছলিম উদ্দীন, ওমর আলী, সাহাপাড়ার সাংবাদিক প্রদীপ সাহা, পিছল ডাঙ্গা গ্রামের মুমিনুল হক, দেলোয়ার হোসেন, মাহাবুর রহমান, জবই গ্রামের শাহজান আলীসহ বেশ কয়েকজন বাগান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রচন্ড খরা বিরাজ করছে। তাতে গাছের আম ঝরে পড়ছে। বর্তমানে সকল বাগান মালিকরা রহমতের বৃষ্টির জন্য আকাশ পানে সৃষ্টিকর্তার মুখ পানে চেয়ে রয়েছেন। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামলে হয়তো এখানকার বাগান মালিকদের স্বপ্ন অনেকটাই পূরণ হবে।

স্থানীয় কৃষি দপ্তরও বাগান মালিকদের সঙ্গে সহমত পোষন করে বলেছেন, চলতি খরা দীর্ঘায়িত হলে আমের অপুরনীয় ক্ষতি হতে পারে। তবে আকাশ থেকে বৃষ্টি নামলে ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে যাবে। আবহাওয়াবিদদের মতে অচিরেই কালবৈশাখী ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের আশু সম্ভাবনা রয়েছে।

(বিএস/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)