ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে ভেজাল মধু বিক্রির অভিযোগে দুই মধু বিক্রেতাকে অমানবিকভাবে প্রখর রোদের মধ্যে খুঁটির সাথে বেঁধে  মারধারের ঘটনায় আওতাপাড়ার ভিলেজ ফ্রেশ ফুড  এ্যান্ড এগ্রোর স্বত্বাধিকারী জিসান হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে দাশুড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর গ্রেফতারের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া নুরজাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভিলেজ ফ্রেশ ফুড এ্যান্ড এগ্রো কোম্পানীতে ভেজাল মধু সরবরাহের অভিযোগে দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দাঁদপুর গ্রামের আলম সরদারের দুই ছেলে আল আমিন (২৪) ও আলাল সরদার (১৭)কে প্রখর রোদের মধ্যে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে মারধর করা হয়।

ভিলেজ ফ্রেশ ফুড এ্যান্ড এগ্রোর স্বত্বাধিকারী জিসান হোসেনের অভিযোগ তাঁর প্রতিষ্ঠানে আল আমিন ও আলাল তার প্রতিষ্ঠানে পাইকারী খাটি মধু সরবরাহের জন্য প্রায় এক বছর আগে চুক্তিবন্ধ হন। প্রথমে খাঁটি মধু সরবরাহ করলেও কিছুদিন পর থেকে তারা ভেজাল মধু সরবরাহ করতে থাকেন। তাদের সরবরাহকৃত প্রায় ৩০০ কেজি মধু ভেজালের কারণে ১২০ কেজি মধু এখনও অবিক্রিত রয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারো ভেজাল মধু সরবরাহের জন্য এলে তাদের দু’জনকে রোদের মধ্যে খুঁটির সাথে বেঁধে এলাকার লোকজন মারধর করে বলে জানান তিনি।

পরে বিকালে আলামিন ও আলালের পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য লোকজন এসে ভেজাল মধুর ক্ষতিপূরণ ও জনসম্মুখে চরধাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দু'জনকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান বলে জানা গেছে।

খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে মারধরের ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্ঠি হয়েছে। এই ঘটনাকে অনেকেই অমানবিক বলে নিন্দা জানানো হয়। ভেজাল পণ্য বিক্রির বিষয়ে আইন রয়েছে উল্লেখ করে কেউ কেউ বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন না করে আইন নিজে হাতে তুলে নেয়াও অপরাধের সামিল।

এতে ঈশ্বরদী পুলিশ বিভাগের টনক নড়ে। পরে অভিযান চালিয়ে ভিলেজ ফ্রেশ ফুড এ্যান্ড এগ্রোর স্বত্বাধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)