আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : এলাকার অসহায় কৃষকদের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে দিলেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অকুতভয় সৈনিক বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্মভূমি এবং তার নামের ইউনিয়নবাসীর কাছে এ যুগের বীরের খেতাব অর্জন করেছেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য স্থগিত হওয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অধ্যাপক কামরুল ইসলাম হিমু খান।

তিনি (হিমু) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের চাচাতো ভাই। দূর্যোগ মোকাবেলায় গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর (আগরপুর) ইউনিয়নের অসহায় কৃষকের জমি থেকে ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজের জন্য তার (হিমু খান) নেতৃত্বে ২০টি টিম গঠণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিমের প্রায় ৪০জন সদস্যরা প্রতিদিনই স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। এ কাজের জন্য উপকৃত হচ্ছেন শ্রমিকের অভাবে পাকা ধান জমিতে থাকায় অসহায় হয়ে পরা কৃষকরা।

শুক্রবার সকালে অধ্যাপক কামরুল ইসলাম হিমু বলেন, চলমান লকডাউনের কারণে বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুমে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক নিয়ে ধান কাটার খরচও পরছে বেশী। তাই অনেক কৃষক ক্ষেতের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না। এমন সমস্যার সমাধানে নিজের মনের টানে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়নের ধান কাটার জন্য ২০টি টিম গঠণ করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে প্রায় ৫০জন সদস্য রয়েছেন। অসহায় কৃষকরা ফোন করলেই কমিটির সদস্যরা ধান কেটে দিয়ে তাদের সহায়তা করছেন।

কৃষক তপন মন্ডল জানান, লকডাউনে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছেনা। শ্রমিকদের মজুরি বেশী। উপায় না পেয়ে হিমু খানের সাথে যোগাযোগ করার পর তারা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিলেও কোন মজুরী নেয়নি। তিনি (তপন) বলেন, বীরশ্রেষ্ঠর ইউনিয়নে কৃষকদের দুর্দীনে স্বেচ্ছায় পাশে এসে যে মানবিকতা দেখিয়েছেন তাতে আমাদের কাছে অধ্যাপক কামরুল ইসলাম হিমু এ যুগের বীর। এদিকে কামরুল ইসলাম হিমুর এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্টজনরা।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম হিমুর নেতৃত্বে ব্যতিক্রমধর্মী এ উদ্যোগ পুরো জেলাজুড়ে ব্যাপক সারা ফেলেছে। ধান পাকার পর থেকেই প্রতিদিন তারা স্বেচ্ছায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। এভাবে প্রতিটি ইউনিয়নের সচেতন ব্যক্তিরা এগিয়ে আসলে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

(টিবি/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২১)