পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : ১ মাসেও পানির সংযোগ পায়নি দুটি পরিবার। তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ শিশু-বৃদ্ধ সহ সকলে!

বরগুনার পাথরঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্ষমতার অপব্যাবহার করে ওই এলাকার দুইটি পরিবারকে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। একই সঙ্গে ওই দুটি পরিবারকে কোন ধরনের স্থাপনা করতে দিচ্ছেন না ওই কাউন্সিলর।

এ ঘটনায় পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন ও কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকুসহ সংশ্লিষ্ট পানি শাখায় বারবার গিয়ে অভিযোগ জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এঘটনায় পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও একই ঘটনায় পাথরটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা এবং পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা পরিবার দুটি হচ্ছে, পাথরঘাটা পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন হনুফা বেগম ও শাহীন মোল্লা।

( ১/৫/২১, শনিবার) পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এসে ফের অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা হনুফা বেগম ও শাহীন মোল্লা । তারা জানান,পৃথক ৫৫৯ ও ৫০৯ নম্বর হোল্ডিং নিয়ে বসবাস করছেন হনুফা ও শাহিন মোল্লা। এই দুই হোল্ডিংয়ে ১২ শতক জমি রয়েছে। কিন্তু ওই ১২ শতক জমিতে কোন ধরনের স্থাপনা করতে দেয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে পৌরসভা থেকে নিয়ম মেনে পানি সংযোগ নেয়া হলেও কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকুকে অবগত না করায় তিনি এ পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন।

পরবর্তীতে গত ৬ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হনুফা বেগমের ঘরে ঢুকে স্থানীয় কাউন্সিলর এ কাজে ব্যবহার করা লোহার শাবল, কোদাল বেলচা ও একটি হাতুড়ি নিয়ে যান। এ সময় তার সঙ্গে পৌরসভার কর্মচারী আকবরসহ ৪ থেকে ৫ জন লোক ছিলেন। এ ঘটনায় কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকু ও পৌর কর্মচারী আকবরের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় এক মাস পার হলেও বিষয়টির কোনো সমাধান দেয়নি তারা।

জানতে চাইলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান রুকু বলেন, পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া উক্ত ঘর নির্মান করায়, কিছু সামগ্রী জব্দকরে তাকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। পানির লাইনের সংযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন অবৈধ ভাবে পানির সংযোগ নেয়ায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ লাইনটি বিছিন্ন করেছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন বলেন, আপন মামার জমি অন্যায়ভাবে দখল করেছে শাহিন । জমি পাবে সে ৬ শতাংশ অথচ অন্যের জমি দখল করে লড়ায়‌ প্রতিবেশীদের। পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, অবৈধ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে মাত্র।

(এটি/এসপি/মে ০২, ২০২১)